গোলাপগঞ্জ (সিলেট) প্রতিনিধি: গোলাপগঞ্জ উপজেলায় এই প্রথম এক যুবকের (৩০) শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। আক্রান্ত ওই ব্যক্তি ঢাকাদক্ষিণ ইউনিয়নের কানিশাইল গ্রামের বাসিন্দা। ২ মে শনিবার সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেন উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা ও স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মনিসর চৌধুরী।
তিনি জানান, উপজেলার ঢাকাদক্ষিণ ইউনিয়নের এক ব্যক্তি জ্বর, সর্দি ও কাশিতে কয়েক দিন ধরে ভুগছেন, এমন খবর জানতে পেরে গত ২৮ এপ্রিল মঙ্গলবার করোনাভাইরাস পরীক্ষা করার জন্য তাঁর নমুনা সংগ্রহ করে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পিসিআর ল্যাবে পাঠানো হয়। শুক্রবার রাত ১১টার ওই ব্যক্তির করোনা ‘পজিটিভ’ আসে।
তার সাথে থাকা বাকী চার জনের রিপোর্ট সম্পর্কে বলেন, শুধুমাত্র ‘পজিটিভ’ রোগীদের রিপোর্ট জানানো হয়। আর নেগেটিভ হলে ঐ রিপোর্ট আমাদের কে জানানো হয় না।
এ নিয়ে শুধু ঢাকাদক্ষিণ ইউনিয়ন জুড়ে আতংক বিরাজ করছে। পাশাপাশি ভাদেশ্বর ইউনিয়নেও আতংক বিরাজ করছে। ঐ রোগীকে দেখতে আসা তিন জন আত্বীয় ভাদ্বেশ্বর ইউনিয়নের হওয়ায় ভাদেশ্বর ইউনিয়নেও আতংক বিরাজ করছে। ভাদেশ্বর ইউনিয়নের পূর্বভাগ ও রাজা পুরের লোকজন বাড়ির বাহির হচ্ছে না।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মামুনুর রহমান জানান, ওই রোগী বর্তমানে বাড়িতে আছেন। ওই রোগীর বাড়িসহ আশপাশের বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে।আক্রান্ত যুবকের আত্বীয় ভাদেশ্বর থেকে আসা ৩ জনকে হোমকোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। এ তিন জনের একজনের বাড়ি পূর্বভাগ রাজাপুর গ্রামে এবং বাকী দুজন পূবভাগ গ্রামে।
আক্রান্ত ওই ব্যক্তি পেশায় শ্রমিক। তার সংস্পর্শে আসা ও পরিবারের সবার নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে । তিনি গত কয়েকদিন আগে অন্য একটি জেলা থেকে বাড়িতে এসেছেন বলেও জানান তিনি।
স্থানীয় ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায় , ঐ ব্যক্তি সহ আরো ৫ জন যুবক সুনামগঞ্জে কাজ করতে যায়। সেখানে নারায়নগঞ্জেরও লোক ছিল।তাদের সংস্পর্শে থাকার কারনে সে করোনায় আক্রান্ত হয়েছে।আক্রান্ত যুবকের আরোও বাকী সারু আহমদ (২২), নুর উদ্দিন (৪০), নুমান আহমদ (১৮), আজিম আহমদ (২৩) এদের ও নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল। তাদের রিপোর্ট এখন্ও আসেনি।
গোলাপগঞ্জ উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা ও স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মনিসর চৌধুরীর নেতৃত্বে ডাক্তার শাহনেওয়াজ, মেডিকেল টেকনোলজি ল্যাব রফিকুল ইসলাম, স্বাস্থ্য পরিদর্শক সংকর লাল দে, আব্দুল সালাম, আব্দুল জলিল, মুমিত আহমদ, সি.এএইচ. সিপি রতন চন্দ্র, রাজন আহমদ, কামরুল ইসলাম ও গোলাপগঞ্জ মডেল থানার পুলিশের একটি দল ওই রোগীর বাড়িসহ আশপাশের বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে।