পাবনার সাঁথিয়ায় তালিকায় নাম থাকার পরেও হত-দারিদ্রদের স্বল্প মুল্যের চাউল(১০ টাকা কেজি মুল্যের) না দেওয়ার অভিযোগে তদন্ত শুরু করেছেন সাঁথিয়া উপজেলা প্রশাসন। স্থানীয় ইউপি সদস্য ভয় দেখিয়ে মুচলেকায় স্বাক্ষর নিয়েছে অভঅবীদের। পঙ্গু সাইদুলের নিকট থেকে চাউলের কার্ড কেড়ে নেন ডিলার রব।
জানাযায়, উপজেলা কাশিনাথপুর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের স্বল্প মুল্যের (১০ টাকা কেজি মুল্যের) চাউলের ডিলার আঃ রবের বিরুদ্ধে হত-দারিদ্রদেরকে চাউল না দেবার অভিযোগ উঠে। ওয়ার্ডের ১৩ জন অভাবীকে ৪ বছর ধরে চাউল দেওয়া থেকে বঞ্চিত করায় ভুক্তভোগীরা উপজেলা নির্বাহী অফিসার জেলা ,প্রশাসক ও র্যাব বরাবর অভিযোগ করেন। উপজেলা প্রশাসন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভ’মি) ফয়সাল রায়হানকে প্রধান করে তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন। ইতো মধ্যে তদন্ত কমিটি তদন্ত শুরু করেছে। অল্প সময়ের মধ্যে তদন্তর রিপোর্ট প্রকাশ করা হবে মর্মে জানিয়েছেন নির্বাহী অফিসার এসএম জামাল আহমেদ।
এদিকে তদন্ত কমিটি তদন্ত শুরু করায় নড়েচড়ে বসেছে অভিযুক্তরা। বুধবার রাতে স্থানীয় ইউপি সদস্য ইমদাদুল হক সাগর ও ডিলার আঃ রব লোক পাঠিয়ে অভিযোগকারী হুইখালী গ্রামের আজাহার আলীর ছেলে কোরক কে স্থানীয় রুহুল কসাই ও জলিলকে দিয়ে ডেকে নিয়ে নতুন করে কার্ড দেওয়া হবে মর্মে স্বাক্ষর নেন। পরে ইউপি সদস্য তাকে জানান বিগত ৩ বছর চাউল পেয়েছ তা তোমাকে বলতে হবে। স্বাক্ষরে তা লেখা আছে। পরে বৃহস্পতিবার কোরক উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট মুচলেকার বিষয়ে অভিযোগ করেন।
হুইখালী গ্রামের আবুল সদারের ছেলে সাইদুল নির্বাহী অফিসারকে জানান, আমি একজন পঙ্গু ব্যক্তি। প্রায় ৩ বছর পূর্বে প্রথম কিস্তির চাউল উত্তোলনের পর ডিলার রব আমার কার্ডে ভুল আছে বলে কেড়ে নেন। পরে তা চাইলে সে জানান, তোমার চেয়ে গরীবকে ওই কার্ড দিয়েছি।
এ ব্যাপারে ৯নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য জানান, আমি কাউকে ডেকে স্বাক্ষর নেইনি। আমার প্রতি পক্ষরা আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত করছে।
সাঁথিয়া নির্বাহী অফিসার এসএম জামাল আহমেদ বলেন, স্বাক্ষর নেবার কথা আমি শুনেছি। অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত চলছে। অভিযোগ সঠিক হলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।