মসজিদের ইমাম ও মাওলানারা ধর্মীয় উপসনালয়, বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানে ধর্মীয় অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন। এসব ইমাম ও মাওলানাদের বেশিরভাগই শুধুমাত্র ধর্মীয় আনুষ্ঠান পরিচালনা করেই পরিবারের জীবিকা নির্বাহ করেন। বিশেষ করে রমজান মাসে প্রতিদিনই ধর্মীয় অনুষ্ঠান থাকায় ব্যক্তিগত ও সামাজিকভাবে বড় ধরনের আর্থিক সহায়তা পান তারা। কিন্তু করোনা ভাইরাসের কারণে দেশে সকল ধর্মীয় উপাসনালয়ে সাধারণ মানুষের যাতায়াত সীমিত করে দিয়েছে সরকার। এছাড়া ব্যক্তিগত ও প্রাতিষ্ঠানিকভাবেও সকল ধর্মীয় আনুষ্ঠান রহিত করা হয়েছে। এতে আলেম-ওলামাদের মধ্যে অধিকাংশ মসজিদের ইমাম ও মালানারা এ বছর রমজান মাসে বাড়িতে বসেই দিন কাটাচ্ছেন। ফলে কর্মহীন হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন তারা। তাই পাবনার ভাঙ্গুড়া পৌরসভার মেয়র গোলাম হাসনাইন রাসেল নিজস্ব অর্থায়নে উপজেলার ইমাম ও মাওলানাদের খাদ্যসামগ্রী দিয়ে সহযোগিতা করেছেন।শুক্রবার বিকালে বাসস্ট্যান্ড জামে মসজিদ চত্বরে উপজেলার ৬৬ জন ইমাম ও মাওলানাকে এই খাদ্যসামগ্রী দেয়া হয়। খাদ্যসামগ্রীর মধ্যে রয়েছে ১০ কেজি চাল, ২ কেজি আলু,২ কেজি ডাল ও ১ লিটার তেল। এসময় উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ ও উপজেলার শীর্ষস্থানীয় আলেম-ওলামা উপস্থিত ছিলেন।
মাওলানা জহুরুল ইসলাম বলেন, ভাঙ্গুড়া পৌরসভার মেয়র গোলাম হাসনাইন রাসেল এর আগে কর্মহীন হয়ে পড়া বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষকে বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করেছেন। এবার তিনি উপজেলার আলেম-ওলামাদেরকে সহযোগিতা করেলেন। এভাবে সকল জনপ্রতিনিধি ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ দুর্ভোগের শিকার মানুষদের পাশে দাঁড়ালে করোনার দূর্যোগ মোকাবেলা করা সম্ভব হবে।
ভাঙ্গুড়া পৌরসভার মেয়র গোলাম হাসনাইন রাসেল বলেন, করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারনে সব শ্রেণী-পেশার মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়েছে। পর্যায়ক্রমে সব শ্রেণী-পেশার দুর্দশাগ্রস্ত মানুষকে সরকারি ও ব্যক্তিগত উদ্যোগে সহযোগিতা করা হয়েছে। এ অবস্থায় বিভিন্ন সামাজিক ও ধর্মীয় অনুষ্ঠান বন্ধ করা সহ সকল ধর্মের উপসনালয়ে মানুষের উপস্থিতি সীমিত করা হয়েছে। এতে উপজেলার অনেক আলেম-ওলামা কর্মহীন হয়ে পড়ে দুর্ভোগের জীবন যাপন করছে। তাই উপজেলার শীর্ষস্থানীয় আলেম-ওলামাদের সঙ্গে আলোচনা করে ব্যক্তিগত উদ্যোগে ইমাম ও মাওলানাদের সহযোগিতা করা হয়েছে।