করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব মোকাবিলায় সরকারি-বেসরকারি অফিসে সাধারণ ছুটির মেয়াদ আরও বাড়ানো কথা ভাবছেন সরকারের উচ্চ নীতিনির্ধারক মহল। ঠিক কতদিন বাড়ছে তা জানা যায়নি। তবে সাধারণ ছুটি আরও বাড়ানো হবে। দেশে এই ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে। তবে এ সময়ে জরুরি প্রয়োজনের আওতায় মন্ত্রণালয়গুলো খোলা থাকবে।
আজ বৃহস্পতিবার (৩০ এপ্রিল) প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের এ নিয়ে এক ভিডিও কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিব আহমেদ কায়কাউসের সাথে সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সচিবদের সাথে এ বিষয়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে সচিবরা এই সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণের জন্য সাধারণ ছুটি বাড়ানোর পক্ষে তাদের মতামত দেন।
এদিকে করোনাভাইরাসের কারণে প্রথম দফায় ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত ছুটি দেওয়া হয়েছিল। এরপর ছুটি বাড়িয়ে তা ১১ এপ্রিল করা হয়। ছুটি তৃতীয় দফা বাড়িয়ে করা হয় ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত। আর চতুর্থ দফায় ছুটি বাড়ানো হয় ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত। এরপর তা আবার বাড়িয়ে ৫ মে পর্যন্ত করা হয়। যদি এবার এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় সেটা হবে ষষ্ঠ দফা সিদ্ধান্ত।
এদিকে দীর্ঘদিন ছুটি থাকার কারণে সরকারের উপর বিভিন্ন মহল থেকে চাপ বাড়ছে। লকডাউন খুলে দেওয়ার জন্য ব্যবসায়ীরা উৎপাদনে ফিরে যেতে চাইছেন। শুধু তাই নয় শিল্পপতিসহ বিভিন্ন মহল সরকারের উপর বিভিন্নভাবে চাপ দিচ্ছে বলে সূত্র জানায়।
আংশিক সব কিছু খুললেও আগামী সেপ্টেম্বর পর্যন্ত স্কুল-কলেজসহ সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। কারণ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ বিষয়ে বলেছেন, ‘করোনা ভাইরাস মহামারির প্রাদুর্ভাব অব্যাহত থাকলে আগামী সেপ্টেম্বর পর্যন্ত স্কুল-কলেজসহ সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে।’
এদিকে ডেনমার্ক, সুইডেন করোনাভাইরাসের কারণে বিশ্বজুড়ে অর্থনীতিতে বিপর্যয়ের মধ্যেও বাংলাদেশের পোশাক খাতের কোনো অর্ডার বাতিল করবে না। তারপরেই গার্মেন্টস চালু রাখার জন্য আংশিক খুলে দেওয়া হয়েছে বলেও জানা যায়।
উল্লেখ্য বাংলাদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ৫৬৪ জন করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছেন। এ নিয়ে দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ৭৬৬৭ জনে। এছাড়াও আরও ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১৬৮ জনে।