সরকারের নির্দেশনা মেনে এবং শ্রমিকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়টি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে ঈশ্বরদী ইপিজেড সীমিত পরিসরে রবিবার থেকে চালু হয়েছে। করোনাভাইরাসের ঝুঁকি থাকলেও কারখানায় স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়টি নিশ্চিত করেই শ্রমিকরা কাজ করছে বলে ইপিজেড কর্তৃপক্ষ ও কর্মরত শ্রমিকেরা জানিয়েছেন ।
ইপিজেডের জিএম আব্দুল আলীম জানান, এই ইপিজেডে ছোটবড় ১৯টি কারখানা রয়েছে। সীমিত পরিসরে ৩টি গার্মেন্টসসহ ৬টি কারখানা আজ চালু হয়েছে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে এবা গ্রুপের ভিন্টেল ডেনিম স্টুডিও লিমিটেড, রেনেসাঁ গার্মেন্টস, জিনজিয়া গার্মেন্টস অ্যান্ড এক্সেসরিজ, উনডো টেক্সটাইল, স্ট্রেনা হেয়ার প্রোডাক্ট এবং ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট।
ভিন্টেল ডেনিম স্টুডিও লিমিটেডে কর্মরত শ্রমিক হাফিজা খাতুন সোমবার সকালে জানান, স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য সাবান দিয়ে হাত ধোয়া, পায়ের জুতা স্যান্ডেল ব্লিচিং পানিতে ধোয়া, মুখে মাস্ক, শরীরের তাপমাত্রা পরীক্ষা করার পর কারখানায় প্রবেশ করতে হচ্ছে। এছাড়াও সামাজিক ও শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে কাজ করতে হচ্ছে।
ওই কারখানার নিরীক্ষা কর্মকর্তা ফজিলা খাতুন বলেন, করোনাভাইরাসে আক্রান্তে কিছুটা ঝুঁকি থাকলেও স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়টি নিশ্চিত করায় আমরা কাজ করে যাচ্ছি। এছাড়া ইপিজেড কর্তৃপ আমাদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়টি সার্বক্ষণিক মনিটরিং করছেন।
এ ব্যাপারে বেপজার জিএম পিআর নাজমা বিনতে আলমগীর বলেন, সরকারের নির্দেশনা মেনে এবং শ্রমিকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়টি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে সীমিত পরিসরে ঈশ্বরদী ইপিজেড রবিবার চালু হয়েছে। প্রথমে ২৫ শতাংশ শ্রমিক দিয়ে কাজ শুরু হলেও অবস্থার উন্নতি হলে পর্যায়ক্রমে ৫০ শতাংশ এবং শেষে শতভাগ শ্রমিক এখানে কাজ করবে। তিনি আরো জানান, এই ইপিজেডে এই অঞ্চলের স্থানীয় শ্রমিকেরা কাজ করায় বাইরের জেলা হতে কোন শ্রমিককে আসতে হচ্ছে না। এতে ঝুঁকি কিছুটা কম রয়েছে। এছাড়াও শ্রমিকরা যাতে সামাজিক ও শারীরিক দূরত্বে বজায় রেখে কাজ করে সেজন্য সার্বক্ষণিক মনিটরিং করা হচ্ছে বলে তিনি জানিয়েছেন।