সারাবিশ্বে ছড়িয়ে পড়া করোনা ভাইরাস এড়াতে বিভিন্ন দেশের সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ বা কৌশল গ্রহণ করলে,বাংলাদেশ সরকারও বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহন করেন। পদক্ষেপগুলোর মধ্যে অন্যতম একটা পদক্ষেপ হলো,পোশাক শিল্পকারখানা বন্ধ ঘোষণা করা। শিল্পকারখানা বন্ধ ঘোষণা করার ফলে লক্ষ লক্ষ পোশাক শ্রমিক ও শিল্প শ্রম মানুষেরা কর্ম থেকে বঞ্চিত হলে,খেটে খাওয়া মানুষগুলো বিপদে পতিত হয়।
করোনা এড়াতে সরকারের তত্ত্বাবধানে শিল্পকারখানা ও পোশাক কারখানা বন্ধ করে দেওয়া হলে, শ্রমিকরা বেকার হয়ে পড়ায় খেয়ে না খেয়ে দিনরাত অতিবাহিত করছে। সরকারিভাবে দেশের বিভিন্ন এলাকা,শহর-উপশহর লকডাউন ঘোষণা করা হলে শ্রমিক,দিনমজুর ও হতদরিদ্র পরিবারের কথা চিন্তা করে সরকার সরকারিভাবে দেশব্যাপীদিনমজুর ও খেটে খাওয়া মানুষগুলোর মাঝে বিনামূল্যে চাল, ডাল,তেল ইত্যাদি নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য-সামগ্রী পৌঁছে দেওয়ার ঘোষণা দেন।
সরকারি ত্রাণের অধিকাংশ আত্মসাৎ করার ফলে জনগণ লকডাউনে আটকে পড়ে কাজকর্ম একেবারে ছেড়ে দিয়ে অভাবের মধ্যে দিয়ে দিন কাটাতে হচ্ছে। অনেক পরিবারের সদস্যরা না খেয়ে জীবনযাপন করছে। অনেক এলাকার মানুষ লকডাউন অমান্য করে কাজ করছে সংসার পরিচালনা করতে। সরকার শুধু ঘোষণা দিয়েই চেয়ারে বসে আসে,কে পাচ্ছে কে পাচ্ছে, কে খেয়ে কে না খেয়ে আসে,তার খবর নেয় কে?
গরীব দুঃখী,দিনমজুর ও হতদরিদ্র পরিবারের সদস্যরা পেটের দায়ে লকডাউন অমান্য করতে বাধ্য হচ্ছে।
এবার আসুন, পোশাক শ্রমিকদের কথা বলি। দেশের গরীব ও হতদরিদ্র পরিবারের অধিকাংশ মানুষ পোশাক শ্রমিক হয়ে কাজ করছে বিভিন্ন কারখানায়। অনেক কষ্টে যাদের জীবনযাপন পরিচালিত হয়,তারাই হলো পোশাক শ্রমিক। এই লক্ষ লক্ষ পোশাক শ্রমিক আজ ঢাকা নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুরে ভির জমাচ্ছে, তার দায়ভারটা পুরোপুরি সরকারের।
মহামারী করোনা এড়াতে যখন গরীব ও হতদরিদ্র মানুষগুলো কাজ থেকে বির, তখন তাদের সাময়িক বেঁচে থাকার জন্য খাবার ও নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস সঠিকভাবে বিতরণ করলে কি তারা এভাবে ছুটাছুটি করতো? যে দেশের শাসকগোষ্ঠীর জনপ্রতিনিধিরা এই মহামারীতে অসহায় মানুষের ত্রাণ-সামগ্রী অাত্মসাৎ করে,সেই দেশে কি করে গরীব, দিনমজুর ও হতদরিদ্র পরিবারের সদস্যরানা খেয়ে থেকে লকডাউন মানবে।
অনেক পোশাক শ্রমিক একা ইনকাম করে ঢাকা নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুরে বসবাস করেও বাকি কিছু টাকা গ্রামের বাড়িতে বাবা মা পরিবার পরিজনের জন্য পাঠায়। আজ এইসব খেটে খাওয়া মানুষগুলোর কাজ না থাকায় অনেকে অনাহারে আছে,সেদিকে কে খেয়াল করে?
পেটের দায়ে সরকারি আইন অমান্য করে পোশাক শ্রমিকরা ছুটে চলছে কর্মের সন্ধানে। যাতেকরে নিজে প পরিবারের সবাই দুবেলা খেয়ে পড়ে বেঁচে থাকতে পারে। পেটের ক্ষুধার কাছে কোনো রোগই বড় নয়, তার প্রমাণ দিচ্ছে বাংলার লক্ষ লক্ষ পোশাক শ্রমিক।