হাত-পা বেঁধে রড দিয়ে মার! বিয়ের আগে যৌনতায় এমন শাস্তির অবসান হলো যে দেশে

একটি খুঁটি বা কাঠের সঙ্গে হাত-পা বেঁধে রড বা লাঠি কিংবা চাবুক দিয়ে মার৷ এই ধরনের শাস্তি সৌদি আরবে বহুল প্রচলিত ছিল প্রাচীন কাল থেকেই৷ এ বার সেই শাস্তির অবসান৷ সৌদি আরবে অপরাধমূলক কাজে শাস্তির তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হল হাত-পা খুঁটির সঙ্গে বেঁধে মারধরকে৷

শনিবার সৌদি আরবের সুপ্রিম কোর্টের জেনারেল কমিশন সিদ্ধান্ত নিয়েছে, বেঁধে মারের পরিবর্তে হাজতবাস বা জরিমানা কিংবা দুটোই করা যেতে পারে৷ কিন্তু বেঁধে মার শাস্তিকে আর রাখা হবে না৷

সৌদি আরবের সুপ্রিম কোর্টের নথি বলছে, ‘রাজা সালমান ও ক্রাউন প্রিন্স মহম্মদ বিন সালমানের নির্দেশে মানবাধিকারের সংস্কারে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে৷’

সৌদি আরবে একাধিক অপরাধে বেঁধে মার দেওয়ার শাস্তি রয়েছে৷ এই নিয়ে একাধিক মানবাধিকার সংগঠন বহুবার সরব হয়েছে৷

কোন কোন অপরাধে এই শাস্তি দেওয়া হত? প্রকাশ্যে নেশা, মহিলাদের হেনস্থা ও বিবাহবহির্ভূত যৌনসংগমে বেঁধে মার দেওয়ার শাস্তি দেওয়া হয় সৌদি আরবে৷ সৌদি আরবের মানবাধিকার কমিশনের প্রধান আওয়াদ আলওয়াদের কথায়, ‘মানবাধিকারে এই সংস্কার সৌদি আরবের মানবাধিকার রক্ষা অ্যাজেন্ডায় অন্যতম সংস্কার৷ একই সঙ্গে বর্তমান রাজার অনেকগুলি সংস্কারের মধ্যে অন্যতম৷’

সৌদি আরবে অন্যান্য শাস্তির মধ্যে রয়েছে, চুরি করলে অঙ্গচ্ছেদ বা হাত কেটে দেওয়া, খুন বা সন্ত্রাস হামলা দোষী সাব্যস্ত হলে প্রকাশ্যে মাথা কেটে দেওয়া৷ এই শাস্তিগুলি আপাতত বহালই থাকছে৷

বিশ্বের একাধিক মানবাধিকার সংগঠন সৌদি আরবের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে৷ তাদের বক্তব্য, বহুকাল ধরেই সৌদি আরবে শাস্তির তালিকায় একাধিক বেআইনি শাস্তি রয়েছে, যা মানবাধিকার লঙ্গন করে৷