নওগাঁ সাপাহারে “ফরিদা ক্লিনিক” নামীয় বন্ধ থাকা একটি ক্লিনিকে চিকিৎসার সকল সরঞ্জামাদি চুরির অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ওই ক্লিনিকের মালিক ফরিদা খাতুন বাদী হয়ে চৌদ্দ জন প্রতিপক্ষের (বিবাদী) নাম উল্লেখ করে সাপাহার থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার গোডাউনপাড়া গ্রামের আবু আনছারের স্ত্রী ফরিদা খাতুন, করমুডাঙ্গা গ্রামের মনিরুল ইসলামের ছেলে আওয়াল হোসেন এবং একই গ্রামের সফিকুল ইসলামের ছেলে রেজওয়ান ওই ক্লিনিকের ব্যবসায়ী শেয়ার পার্টনার হিসাবে ক্লিনিকের কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিলো। তাদের অভ্যন্তরীণ বিরোধের জের ধরে গত ২১ এপ্রিল ভোর ৪ টার দিকে আওয়াল হোসেন ও রেজওয়ান সহ আরো ১২ জন মিলে ওই ক্লিনিকের তালা ভেঙ্গে সেখানে থাকা চিকিৎসার সকল সরঞ্জামাদি চুরি করে নিয়ে যায় বলেও অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে। যার মূল্য ২০ লক্ষ টাকা দেখানো হয়েছে।
আওয়াল হোসেনের সাথে মুঠো ফোনে কথা হলে তিনি বলেন, ওই ক্লিনিকের অর্ধেক শেয়ার পার্টনার হিসাবে ফরিদা খাতুনকে দেয়া ২ দুই লক্ষ টাকা এবং ধার হিসাবে ২০ বিশ হাজার টাকা এবং আরেক শেয়ার পার্টনার তারিফের দেয়া ২ লক্ষ ৪০ চল্লিশ হাজার টাকা ফেরত দিতে তালবাহানা করায় ওই ক্লিনিকের মালামাল আমি ও আমার ব্যাবসায়ী শেয়ার পার্টনার তারিফের হেফাজতে নিয়েছি।
এব্যাপারে সাপাহার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল হাই এর সাথে মুঠো ফোনে কথা হলে তিনি বলেন, অভিযোগ পাওয়া গেছে, তাদের তিন জন ক্লিনিক ব্যাবসায়ী শেয়ার পার্টনারদেরকে নিয়ে বিয়ষটি সমাধান করা হবে।