সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলার আমুড়া ইউপির ধারাবহর গ্রামে পাশাপাশি দুইটি পরিবারের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।২১ এপ্রিল মঙ্গলবার রাত্র ১০ টার সময় এলাকার পাঞ্জেগানা মসজিদে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে এই সংঘর্ষ সৃষ্টি হয়। এই সংঘর্ষে ৩ জন আহত খবর জানা যায়।
আহতরা হলেন, পাকন মিয়া (৪৫), শিমুল (২২) এবং রকন (৩৮)। তাদেরকে গোলাপগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে পাকন মিয়া ও শিমুল মিয়ার অবস্থা আশংকা জনক হলে সিলেট ওসমানী মেডিকেল হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার এশার নামাজের পর পাঞ্জেগানা মসজিদে তারাবীহ নামাজ নিয়ে কমিটির আলোচনায় বসে। আলোচনার এক পর্যায়ে মসজিদে নীতি নির্ধারণ নিয়ে কথা উঠে ধারাবহর গ্রামের জিলাল মিয়া পরিবার সাথে একই গ্রামের জাবেদ মিয়ার। আলোচনার এক পর্যায়ে মসজিদের হিসাব নিকাশ নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে উভয়ের মধ্যে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। এ নিয়ে জিলাল ও বাবুল, কুতুব উদ্দিন তিন ভাইয়ের পরিবারের সদস্য সাথে জাবেদ পরিবারের সংঘর্ষ সৃষ্টি হয়।
এসময় দেশীয় অস্ত্র নিয়ে দু পক্ষের তুমুল সংঘর্ষ বাধে। স্থানীয়রা সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণের জন্য চেষ্টা চালায়। কিন্তু এতে তারা ব্যার্থ হলে মসজিদে মাইকিং করা হয়। পরে আপাশের শতাধিক মানুষ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। সর্বশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ঘটনা স্থলে জাবেদ মিয়ার দুই মামা ও এক খালাত ভাই সহ ৩ জন আহতে খবর পাওয়া যায়।
এ বিষয়ে গোলাপগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মিজানুর রহমান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ অভিযোগের পেক্ষিতে ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়েছে। এ ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।