ইউনিয়নের প্রতিটি গ্রামে নিরাপত্তা দিতে রাত-দিন ছুটে বেড়ায় গ্রাম পুলিশ। যাদেরকে গ্রামের সাধারণ মানুষ চৌকিদার বলে ডাকে। বর্তমানে করোনা ভাইরাসের উদ্ভূত পরিস্থিতিতে তাদের দায়িত্ব বেড়ে গেছে আগের চেয়ে কয়েকগুণ। দায়িত্ব পালন করতে দম ফেলারও সুযোগ নাই তাদের। তবে তাদের নিজেদের নিরাপত্তা নিয়ে কেউই কখনো ভাবেনি। তবে পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলা প্রশাসন ওই গ্রামপুলিশদের স্বাস্থ্য ঝুঁকি কথা চিন্তা করে সোমবার পার্সোনাল প্রটেক্টিভ ইকুইপমেন্ট (পিপিপি) প্রদান করেছে।
জানা যায়, ভাঙ্গুড়া উপজেলায় মোট ছয়টি ইউনিয়ন। এই ছয়টি ইউনিয়নের আওতাধীন প্রায় একশত গ্রাম। বর্তমানে ছয়টি ইউনিয়নে ৫৮ জন গ্রামপুলিশ কর্মরত আছেন। এসব গ্রাম পুলিশ গ্রামের নিরাপত্তা রক্ষায় দিনরাত কাজ করে। ইউনিয়নের যে কোনো বিষয়ে গ্রামের লোকজনকে একত্রে করা, বিভিন্ন সরকারি সহায়তা পাওয়া জনগণকে নির্দিষ্ট দিনে ইউনিয়ন পরিষদে আসতে খবর দেয়া, ইউনিয়ন পরিষদে বিবাদীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে বাদীকে সালিশে হাজির করা, গ্রাম্য সালিশের সকলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার কাজ করে থাকে গ্রাম পুলিশ। এছাড়াও রাতের বেলায় এলাকায় নিরাপত্তা বিধানে তারা পাহারাদারের কাজও করে। তবে বর্তমান পরিস্থিতি তাদের কাজ আরো বেড়ে গেছে কয়েকগুণ। করোনা পরিস্থিতিতে বিভিন্ন সড়ক ও গ্রামে চলছে লকডাউন। লকডাউনের বিভিন্ন পয়েন্টে গ্রাম পুলিশ পাহারাদারের দায়িত্ব পালন করছেন। এ অবস্থায় তাদের ব্যক্তিগত নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য ঝুঁকি থেকে নিরাপদ রাখতে পিপিই দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন।
পারভাঙ্গুড়া ইউনিয়নের গ্রাম পুলিশ নায়েব আলী বলেন, ইউপি চেয়ারম্যানের নির্দেশে একটি ইউনিয়নের প্রতিটি গ্রামের সব ধরনের ভালো-মন্দ দেখতে হয় গ্রাম পুলিশকে। বিভিন্ন কাজে গ্রাম পুলিশকে সব সময় নানা শ্রেণি-পেশার মানুষের সাথে মিশতে হয়। বর্তমান পরিস্থিতিতে সারা দিনরাতই প্রায় ডিউটি করতে হয় তাদের। তাই মাঝে মাঝে খুব ভয় হয়। তবে এখন পিপিই পেয়ে অনেকটাই নিরাপদে কাজ করতে পারবে সবাই।
ভাঙ্গুড়া উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আজিদা পারভীন পাখি বলেন, প্রত্যেকটা মানুষের জীবনেরই গুরুত্ব আছে। সৃষ্টিকর্তার কাছে সব মানুষেরই মূল্য সমান। দায়িত্ব পালনের সময় চিকিৎসক, পুলিশ ও প্রশাসনের কর্মকর্তাদের ব্যক্তিগত সুরক্ষার জন্য পিপিই প্রয়োজন হয়। তাই মাঠ পর্যায়ে সবচেয়ে বেশি পরিশ্রম করা গ্রাম পুলিশদের সুরক্ষার জন্য পিপিই দেওয়া হয়েছে।