রাজশাহী প্রতিনিধি:
করোনা ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধ করতে সরকার কর্মহীন দিনমজুরদের বাঁচানোর জন্য নিজে প্রতিটি গ্রামগঞ্জের বাড়িতে বাড়িতে ত্রাণ সমাগ্রী পাঠাচ্ছেন এবং অসহায় হতদরিদ্ররা ত্রাণ পাচ্ছেন কিনা তদারকিতে রয়েছে প্রশাসন। ঠিক সেই সময় রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার গোয়ালকান্দি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান-েেমম্বারদের বিরুদ্ধে আত্মীয়স্বজন,ক্ষমতাসীন দলের সচ্ছল নেতাকর্মী ও তাদের নির্বাচণীয় সমর্থকদের সরকারি ত্রানের চাল বিতারনে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। তারা অসহায় খেটে খাওয়া দিনমজুর,ভ্যান চালক ও বিধবাদের ত্রানের চাল না দিয়ে চাল নিয়ে স্বজনপ্রীতি করছে। উপজেলার গোয়ালকান্দি ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের উদপাড়া গ্রামের দিনমজুর মৃত আবেদ আলীর ছেলে জুয়েল আলী ভ্যানগাড়ি না চালালে তার সংসার চলে না। সেই জুয়েল আলীর কপালে সরকারের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ত্রানের চাল এখনো তার কপালে জোটেনি। তবে এই ত্রানে চাল জুটেছে জাহিদুল ইসলাম নামের এক ব্যাক্তির। যিনি আট বিঘা জমির মালিক। যার রয়েছে পানবরজ,মৎস্য ব্যবসা ও রাইচ মিল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নভেল করোনাভাইরাসে একজন মানুষও যেন না খেয়ে না থাকে এই জন্যই দিনমজুর, অসহায়, দুস্থ, প্রতিবন্ধী, বিধবা ও বিবাহ বিচ্ছেদের শিকার নারীদের মধ্যে ত্রানের চাল ১০ কেজি করে বিতারনের জন্য বরাদ্দ দেয় চেয়ারম্যান-মেম্বারদেরকে। কিন্তু সেই চাল সঠিক ভাবে বিতারন করা হচ্ছে ন। এদিকে, বন্ধ রয়েছে সব ধরনের অফিস-আদালত দোকানপাটসহ অঘোষিত চলছে লকডাউন। কিন্তু সেই সময় সরকারের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ত্রানের চাল ভ্যানগাড়ি চালক জুয়েল আলীর কপালে আজও জোটেনি । শুধু জুয়েল আলী নয়,তার মত অনেকে সরকারি ত্রানের চাল পাওয়া থেকে বঞ্চিত হয়েছে। ১৩ নং গোয়ালকান্দি ইউনিয়নের চন্দ্রপুর গ্রামের মর্জিনা বেওয়া,আমেনা বিবি,রেজিয়া বেওয়া,মনোয়ারা বিবি, হতদরিদ্র খালেক,সাজেদা বিবি,শরিফা বেওয়া,মনি মন্ডল,সেলিনা বিবি,জাহেদা বেওয়া,৭নং ওযার্ডের চেউখালি গ্রামের মুনছুর আলী,মালেকা বিবি,শরিফা বিবি,আলেয়া বেওয়া,১নং ওয়ার্ডের পারুল বিবি,রায়হান,আকবর,কালাম,হেলাল,আয়জান বিবিসহ এই ইউনিয়ের বিভিন্ন ওয়ার্ডের হতদরিদ্রদের অনেকের একই চিত্র পাওয়াগেছে। এছাড়া এই ইউনিয়নের এ তালিকায় হতদরিদ্রদের নাম বাদ দিয়ে এলাকার বড়লোক ও প্রভাবশালী ব্যক্তিদের নাম অন্তর্ভুক্ত করে তাঁদের বাড়িতে বাড়িতে চৌকিদার দিয়ে চাল বিতারন করছে বলেও একাধিক অভিযোগ রয়েছে। এবিষয়ে যোগাযোগ করা হলে গোয়ালকান্দি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন সরকার বলেন,আমরা বিধি মেনে তালিকা অনুযায়ী তিনবার সরকারি ত্রানের চাউল বিতারন করা হয়েছে। প্রথমবার ৩৭২জন,২য়বার ২৫০জন এবং ৩য়বার গতকাল বৃহস্পতিবার সরকারী কর্মকর্তা উপস্থিতে প্রায় ৬২৫ জনের মধ্যে চাউল বিতারন করা হয়। প্রথম দিনের চাল বিতারনের অনিয়মের অভিযোগে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি কোনো অনিয়ম করিনি। আর আমি একাতো তালিকা তৈরী করিনি এতে সব ওয়ার্ডের মেম্বারেরা রয়েছে। তাতে তালিকা তৈরীতে দুই একজন ছাড়া পড়তে পারে বলে স্কীকার করেন তিনি। এবং বৃতশালী জাহিদুল ইসলামের চাল নেওয়ার বিষয়ে বলেন, জাহিদুলকে চাল দেওয়া হচ্ছে না তার মাধ্যমে চাল বিতারন করা হচ্ছে।