দিনাজপুরে পরপর ২দিনে ৮ জন করোনা রোগী সণাক্ত হওয়ার ফলে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের সুপারিশে জেলা প্রশাসন দিনাজপুর জেলাকে লকডাউন ঘোষনা করেছে। তবে প্রশাসনের পক্ষে কড়াকড়ি না থাকায় সাধারন মানুষের মাঝে এর কোনো প্রভাব পড়েনি।
বিশ্বব্যাপী করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) মহামারী রুপ নেয়ায় সারাদেশের ন্যায় দিনাজপুরেও প্রতিরোধের লোক দেখানো নানামুখী উদ্দ্যোগ গ্রহন করা হলেও প্রতিরোধে কার্য্যকর তেমন উদ্দ্যোগ না থাকায় সামাজিক দুরুত্ব মানছে না কেউ। ফলে হুমকীতেই থাকছে সমগ্র জেলার বসবাসকারী কয়েক লাখ মানুষ।
গত বুধবার রাতে এক গনবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে দিনাজপুর জেলাকে লকডাউন ঘোষণা করেন দিনাজপুরের জেলা প্রশাসক মো: মাহমুদুল আলম। গত মঙ্গলবার জেলার ফুলবাড়ি,নবাবগঞ্জ ও সদর উপজেলায় ৭জন করোনা রোগী সণাক্ত হয়। তার একদিন পরই আবার বুধবারে দিনাজপুরের পার্বতীপুর উপজেলায় আরো একজন করোনা রোগী সনাক্ত হলে প্রশাসনের পক্ষ হতে তড়িত ভাবে সাধারন মানুষকে নিরাপদ করতে জরুরী সভা করে জেলা প্রশাসন জেলাকে লকডাউনের সিদ্ধান্ত নেয়।
মঙ্গলবার ও বুধবার রাতে দিনাজপুরের সিভিল সার্জন ডাঃ আব্দুল কুদ্দুস জানান, রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (রমেক) যথাক্রমে ১৯৪টি টেষ্ট পরিক্ষার জন্য পাঠানো হলে ৯৪টি পরীক্ষার ফলাফল পাওয়া যায়। এরমধ্যে ৮জন করোনা পজিটিভ রোগী সনাক্ত করা হয়েছে।
প্রথমে সদর,ফুলবাড়ি ও নবাবগঞ্জে উপজেলায় ৭জন এবং পরে পার্বতীপুর পৌর শহরের নয়াপাড়া কালীবাড়িতে এক ব্যক্তির শরীরে করোনা সনাক্ত করা হয়েছে। ওই ব্যক্তি কিছুদিন আগে ঢাকা থেকে পার্বতীপুরে এসেছে।
শহরে ইজিবাইক চালাতে আসা বিরল উপজেলার ছেতারা গ্রামের রিয়াজুল ইসলাম জানান, কেউ তো আর খাবার দিচ্ছেনা ,গাড়ি না চালালে ঘরে বউ-বাচ্চারা কি খাবে। পেটের তাগিদেই এসেছি খাওয়ার থাকলে তো বাহিরে আসতাম না।
সদরের শিকদার হাট এলাকার মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফা জানান,শুরু থেকেই জেলা প্রশাসন সেভাবে কড়াকড়ি না হওয়ায় হাট-বাজারে এবং পাড়া-মহল্লায় সেভাবে মানুষ সামাজিক দুরুত্ব মানছেই না,এ কারণে করোনা ঝুকিতেই থাকছি আমরা।
এব্যাপারে দিনাজপুরের জেলা প্রশাসক মোঃ মাহমুদুল আলম জানান, বুধবার ১৫ই এপ্রিল রাত ১০টা থেকে পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত দিনাজপুর জেলাকে লকডাউন ঘোষণা করা হলো। এপর্যন্ত দিনাজপুর জেলায় ৮ জন করোনা রোগি সনাক্ত হয়েছে।