নওগাঁয় পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে ২ সাংবাদিককে হুমকি

                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                                   

নওগাঁয় পেশাগত দায়িত্ব পালত করতে গিয়ে শিকারপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ময়নুল হক মুক্তার ্এর বিরুদ্ধে ২ সাংবাদিককে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। সদর উপজেলার শিকারপুর ইউনিয়নের পূর্বপাড়া গ্রামের এক অসহায় কৃষক মোঃ হামিদুল মন্ডলের ফোন পেয়ে দুই সাংবাদিক তথ্য সংগ্রহের জন্য ঘটনাস্থলে গিয়ে তথ্য সংগ্রহ ও ছবি নিয়ে ফিরে আসার পথে মোবাইল ফোনে হুমকি দেন ওই চেয়ারম্যান।
জানা গেছে, শিকারপুর ইউনিয়নের কৃষক হামিদুলের ১ বিঘা ৫ শতক জায়গা-জমি নিয়ে নওগাঁর অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে মামলা বিচারাধীন অবস্থায় রয়েছে। মর্মে আদালতে হামিদুলের পক্ষে ওই সম্পত্তির উপর স্থিতিঅবস্থা জারি করা আছে। এ অবস্থায় আদালতের নির্দেশনা উপেক্ষা করে সম্পত্তির দখল নেয়ার লক্ষে জোরপূর্বক ওই সম্পত্তিতে রোপনকৃত ২০/২৫টি ফলজ ও বনজ গাছ কেটে ফেলা হয়েছে।
স্থানীয় এলাকাবাসী সাজেদুল জানান, এই সম্পত্তি নিয়ে দীর্ঘ ১০ বছর যাবৎ হামিদুলের সাথে প্রতিপক্ষ দুলাল গংদের দ্বন্দ চলে আসছিলো। গত সোমবার বেলা ১১ টায় চেয়ারম্যানের নির্দেশে প্রতিপক্ষ দুলাল দেওয়ান গংরা জোরপূর্বক প্রকাশ্যে গাছগুলো কেটে ফেলে। আদালতের নির্দেশনার কোনো ত্বোয়াক্কা করেনা তারা। এভাবে দিনের বেলা যদি সম্পত্তি দখল হয়ে যায় তাহলে আগামী দিনে সকল সম্পত্তিই প্রভাবশালীরা দখল করে নেবে।
এব্যাপারে প্রতিপক্ষ দুলাল দেওয়ান এর সাথে মোবাইল ফোনে কথা হলে তিনি বলেন, ওই সম্পত্তির তাদের বাবা দাদা কাছ থেকে ক্রয় সূত্রে বৈধ মালিক আমরা। তবে সাংবাদিকদের হুমকি দেয়ার বিষয়ে আমার কোনো ইচ্ছা নাই। আমি চেয়ারম্যান এর কাছে পরামর্শ নিতে গেলে আমার কাছ থেকে ফোন নিয়ে ওই দুইজন সাংবাদিকদের চেয়ারম্যান সাহেব হুমকি প্রদান করেন। তিনি আরও বলেন আমি কোনো প্রকার হুমকি প্রদান করতে বলিনি।
তথ্য সংগ্রহকারী সাংবাদিক রুহুল আমিন ও রাসেল রানা জানান, আমরা ঐ অসহায় কৃষকের ফোন পেয়ে ঘটনা স্থলে গিয়ে তথ্য সংগ্রহ করে ফেরার পথে ০১৭২১৫১৩১৬২ নাম্বার থেকে শিকারপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ময়নুল হক মুক্তার আমাদেরকে বিভিন্ন ভাবে হুমকি প্রদান করেন ।

এব্যাপারে শিকারপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ময়নুল হক মুক্তা জানান, আমি কোনো সাংবাদিককে কোনোরকম হুমকি দেইনি। সাংবাদিকদের আমি সন্মান করি।
এব্যাপারে নওগাঁ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সোহরাওয়ার্দী হোসেন জানান, শিকারপুর ইউনিয়নের পূর্বপাড়া গ্রামের আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জোরপূর্বক গাছ কেটে দখন নেয়ার বিষয়ে থানায় একটি লিখিত করা হয়েছে। ঘটনাটি তদন্ত করা হচ্ছে তদন্ত সাপেক্ষে যথাযত আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
অপর প্রশ্নে তিনি বলেন, সাংবাদিকরা দেশ ও জাতির বিবেক সমাজের দর্পণ। সাংবাদিকদের হুমকি দিয়ে থাকলে এটা বরদাস্ত করা হবেনা।