নওগঁয় ওএমএসের চাল সাধারণ মানুষের কাছে বিক্রি না করে গোপনে মজুদ করে অন্যত্র পাচারের প্রস্তুতি নেওয়ার সময় ১৭২ বস্তা চাউল উদ্ধার করেছে সদর মডেল থানার পুলিশ। মঙ্গলবার রাত ১১ টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে খাদ্য বান্ধন কর্মসুচির এ চাল গুলি উদ্ধার করে।
নওগাঁ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সোহরাওয়ার্দী হোসেন জানায়, নওগাঁ সদর উপজেলার বর্ষাইল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সামছুজ্জোহা ঘুটুর ভাতিজা ওএমএসের ডিলার আবু সাঈদ। ওএমএস কর্মসূচীর ডিলার আবু সাঈদ তার নামে বরাদ্দকৃত চাল থেকে উদ্ধারকৃত চাল কালোবাজারে বিক্রির উদ্দেশ্যে পাচার করে তার ভগ্নিপতি সদর উপজেলার মারমা মল্লিকপুর গ্রামের আব্দুর রহমানের বাড়ি রাখে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ সংবাদ পান যে সেখানে সরকারী নির্দিষ্ট বস্তা থেকে চালগুলো অন্য বস্তায় রিপ্যাকেটিং করা হচ্ছে।
ওসি আরো জানান, কালোবাজারে বিক্রির জন্য ওএমএস এর চাল মজুদ করে রিপ্যাকিং করা হচ্ছে এ ধরনের সংবাদের ভিত্তিতে মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে সদও থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) ফয়সাল বিন আহসানের নেতৃত্বে পুলিশের একটি টিম সদর উপজেলার বর্ষাইল ইউনিয়নের মারমা মল্লিকপুর গ্রামে ডিলার আবু সাঈদের ভগ্নিপতি আব্দুর রহমানের বাড়িতে অভিযান চালায়। এ সময় অভিযানের সময় সেখান থেকে সরকারী হিসেবে ১৭২ বস্তা চাল যা অন্য বস্তায় রিপ্যাকেটিং করা হচ্ছিল সেগুলো আটক করা হয়। উদ্ধারকৃত চালের আনুমানিক পরিমান ৫ হাজার ১০০ কেজি। চাল গুলো খাদ্য বান্ধব কর্মসুচির আওতায় ১০ টাকা কেজি দরে সাধারণ মানুষের কাছে বিক্রির করার জন্য সরকার ওএমএস ডিলারদের মাধ্যমে বরাদ্দ করেন।
এ সময় পুলিশের উপস্থিত টের পেয়ে বর্ষাইল ইউনিয়নের ওএমএস ডিলার ওএমএস ডিলার আবু সাঈদ এবং তার ভগ্নিপতি আব্দুর রহমান পালিয়ে যায়। পুলিশ চাল এবং সরকারী নির্দিষ্ট ১৭২টি খালি বস্তা উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসেন।
এ সময় সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুন, সদর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. মোহাজের হাসান, সদর এলএসডির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আতিকুল ইসলাম, সদর উপজেলার খাদ্য পরিদর্শক শেখ মো. জাকারিয়া হাসান উপস্থিত ছিলেন। এ ব্যাপারে আজ বুধবার সকালে নওগাঁ সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুল বারিক বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছে।