দেশে দেশে চলছে লকডাউন। ঘরবন্দী মানুষ। এতে স্মার্টফোনের প্রতি আরও বেশি আসক্ত হয়ে পড়ছে। বিশেষ করে অল্প বয়সীদের ওপর মারাত্মক প্রভাব ফেলতে পারে স্মার্টফোন। ডব্লিউএইচও এক প্রতিবেদনে বলছে, শিশুদের শরীর ও মনের বিকাশের ক্ষেত্রে অন্যতম বাধা হল তাদের শরীরচর্চা না করা।
পরিসংখ্যান বলছে, গোটা বিশ্বের ১১ থেকে ১৭ বছর বয়সী শিশু ও কিশোর-কিশোরীদের ৮০ শতাংশই বিভিন্ন কারণে শরীরচর্চা বিমুখ। এদের অনেকেই মোবাইল ফোন, অ্যান্ড্রয়েড গেম, ভিডিও গেম, টিভি দেখার প্রতি অতিরিক্ত আসক্তির ফলে শরীরচর্চা বিমুখ হয়ে পড়েছে।
প্রায় সব বয়সের মানুষই এখন হয় মোবাইল ফোন, অ্যান্ড্রয়েড গেম নয়তো টিভি দেখেই দিনের বেশির ভাগ সময় কাটাচ্ছেন। এই পরিস্থিতিতে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে শিশুদের শরীর ও মনের বিকাশ।
নিয়মিত শরীরচর্চা কেন জরুরি?
১. হৃৎপিণ্ড সুস্থ রাখতে,
২. ফুসফুস সুস্থ রাখতে,
৩. হাড় ও পেশি শক্ত করতে,
৪. মানসিকভাবে সুস্থ রাখতে,
৫. ওজন কমাতে।
এর জন্য কী কী করবেন?
১. ঘরবন্দী অবস্থায় দৌড়ানোর অভ্যাস করানো সম্ভব নয়। খেলার ছলে স্কিপিং বা লাফ দড়ি দিতে পারেন। সন্তানদেরও উৎসাহী করতে পারেন।
২. সন্তানের সঙ্গে খেলায় সঙ্গ দিন আপনিও। ওদের সঙ্গে খেলতে খেলতে বাড়ির বড়দেরও খানিকটা শরীরচর্চা হয়ে যাবে।
৩. পরিবারের সদস্যরাসহ যোগাভ্যাস করান। ঘরবন্দী অবস্থায় যোগব্যায়ামের চেয়ে ভালো শরীরচর্চা আর কিছুই হতে পারে না।
৪. পড়াশোনার বাইরে অবসর সময় কাটানোর জন্য সন্তানের হাতে মোবাইল ফোনের পরিবর্তে তুলে দিন গল্পের বই, পাজল গেমের সামগ্রী।
৫. স্মার্টফোন বা স্ক্রিন থেকে দূরে থাকতে সবাই মিলে পারিবারিক আড্ডায় মাতুন।