নারায়ণগঞ্জে ২৪ ঘণ্টায় দুইজনের মৃত্যু, আক্রান্ত ২৪

গত ২৪ ঘণ্টায় নারায়ণগঞ্জে করোনাভাইরাসে ক্রান্ত দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। এসময়ের মধ্যে করোনা আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন ২৪ জন। সুস্থ হয়েছেন তিনজন। সোমবার (১৩ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সিভিল সার্জন (ভারপ্রাপ্ত) ডা. চৌধুরী মোহাম্মদ ইকবাল বাহার এ তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি জানান, জেলায় এখন পর্যন্ত করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন ১৩৩ জন। জেলায় মোট মৃত্যু ১১ জনের। সুস্থ হয়েছেন ৬ জন।

ইকবাল বাহার জানান, এরই মধ্যে জেলায় মোট নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ২৭১ জনের। গত ২৪ ঘণ্টায় সংগ্রহ করা হয়েছে ৫০ জনের। জেলায় আইসোলেশনে আছেন ৯৩ জন। এদের মধ্যে আড়াইহাজারে ৩ জন, বন্দরে ৪ জন, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন (নাসিক) এলাকায় ৬৮ জন, সদরে ১৫ জন ও রূপগঞ্জে ৩ জন।

তিনি আরও জানান, জেলায় মোট ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে বন্দরে একজন, নাসিক এলাকায় সাতজন ও সদরে তিনজন রয়েছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় শনাক্ত ২৪ জনের মধ্যে বন্দরে একজন, নাসিক এলাকায় ২০ জন, সদরে তিনজন রয়েছেন।

গত ৩০ মার্চ নারায়ণগঞ্জ বন্দরে প্রথম করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত এক নারীর মৃত্যু হয়। পরে ৪ এপ্রিল এক আক্রান্ত ব্যক্তির মৃত্যু হয় বাংলাবাজার এলাকায়। এরপর ৫ এপ্রিল শহরের জামতলায় একজন ও দেওভোগ আখড়া এলাকায় আরেকজনের মৃত্যু হয়। ৬ এপ্রিল শীতলক্ষ্যা এলাকায় একজন এবং চাষাঢ়ার মাসুদাপ্লাজার মালিকের মৃত্যু হয়। ৭ এপ্রিল দেওভোগে একজন গিটারিস্টের মৃত্যু হয়। ৮ এপ্রিল সিদ্ধিরগগঞ্জে আদমজী আঞ্চলিক শ্রমিক লীগের সহ-সভাপতি এবং ৯ এপ্রিল ফতুল্লার সস্তাপুরে এক ব্যবসায়ীর মৃত্যু হয়। ১২ এপ্রিল দেওভোগের এক ব্যক্তি ও ফতুল্লার ইসদাইরের এক নারীর মৃত্যু হয়।

এর আগে ৫ এপ্রিল জেলায় ছয়জন ও ৬ এপ্রিল ১২ জন আক্রান্তের কথা জানান সিভিল সার্জন। ৭ এপ্রিল ১৫ জন আক্রান্ত রোগী শনাক্তের কথা জানায় সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর)। ৮ এপ্রিল জেলায় তিনজন এবং ৯ এপ্রিল ১৩ জন আক্রান্তের কথা জানান সিভিল সার্জন। ১০ এপ্রিল জেলায় ১৬ জন, ১১ এপ্রিল ৮ জন ও ১২ এপ্রিল ২২ জন আক্রান্তের কথা জানায় আইইডিসিআর।

তারও আগে গত ৮ মার্চ এ জেলায় ভাইরাসটিতে আক্রান্ত দু’জনকে শনাক্ত করে আইইডিসিআর। তারা এরই মধ্যেই সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। পরে ২৩ মার্চ জেলায় আরও একজন আক্রান্ত পাওয়া যায় বলে জানিয়েছিলেন জেলা সিভিল সার্জন। ওই ব্যক্তিও গত ১ এপ্রিল সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরেন।