মানবজাতির আর্তনাদ


শ্রমজীবি মানুষ থেকে শুরু করে ভ্রমণ বিলাসি মানুষ পর্যন্ত সবাই এখন রুদ্ধশ্বাসে দিন অতিবাহিত করছি। নানাবিধ পরিকল্পনা আর শত স্বপ্নজালে আবদ্ধ ছিল আমাদের দিনযাপন। নিত্য দিনের হিসাব, সাপ্তাহিক হিসাব, মাসিক হিসাব, বা্ৎসরিক হিসাব, আমরা যে যেভাবেই হিসাব করছি না কেন, এখন সবার হিসাবের যোগফল শূন্য।

মালিহীন বাগানের মলিনতা, কর্মহীন মানুষের আত্নচিৎকার, মধ্যবিত্তের চাপা কান্না এসব কিছু বিশ্বসংসারকে একটা নতুন রুপ দিয়েছে।

কিন্তু এ কেমন রুপ?

আজ বিশ্বসংসারের এ কেমন রুপ যে, মানুষ মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছ?
এ কেমন কর্মহীন বিশ্রাম যে মানুষ ঘরকোনে গুমরে মরছে?
এ কেমন ব্যাধি যে স্বজনদের স্পর্শকাতর উপস্থিতি  নেই?
এ কেমন শেষ বিদায় যেখানে হৃদয় নিঃসৃত আহাযারী নেই? স্বজনের এ কেমন পরিধেয় শেষ বস্ত্র যে অতিপ্রিয় আপন মানুষের প্রিয় মুখখানা শেষবার দেখার সুযোগ নেই? এ কেমন শেষযাএা, যেখানে কোন আপন সহযাত্রী নেই, শেষ ঠিকানা (কবর) পর্যন্ত?

হে বিশ্ববিধাতা,

প্রতিটি নতজানু হওয়া মানুষের মনের আকুল আর্তনাদ, তোমার দিকে উত্তলিত প্রতিটি মানুষের হাতের আর্তনাদ, প্রতিটি মানুষের রিদয়ের চাপাকান্না, যা আজ প্রার্থনা হয়ে তোমার কাছে উপনীত হচ্ছে।  সেই প্রার্থনায় প্রভু তুমি কর্নপাত করো।

পৃথিবীবাসিকে আবার সেই দিন দাও হে প্রভু………

যেদিন পৃথিবীর প্রতিটি মানুষ ধন্যবাদের অর্ঘডালা সাজিয়ে তোমার সামনে নতজানু হবে।

যেদিন পৃথিবীর প্রতিটি মানুষ সমস্বরে গেয়ে উঠবে ধন্যবাদের গান।
হে জীবন বিধাতা অনুনয় করি তোমায় কর্নপাত করো এ প্রার্থনায়।