ইবি প্রতিনিধি-সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীর বিরুদ্ধে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যাকান্ডের বিচার নিয়ে বাজে মন্তব্য করার অভিযোগ উঠেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐ ছাত্রীর নাম সানজিদা ইসলাম ছন্দ। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের স্নাতোকোত্তর (মাস্টার্স) শিক্ষার্থী।
আজ মঙ্গলবার (৭ এপ্রিল) জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর পলাতাক খুনি মাজেদকে ঢাকা থেকে গ্রেফতারের পরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের একটি পোস্টে ওই ছাত্রী এমন মন্তব্য করে। এ ঘটনায় ঐ ছাত্রীকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কারের দাবি জানান ছাত্রলীগের সাবেক ও বর্তমান নেতারা।
জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক কর্মী সাজ্জাদ হোসেন তার ফেসবুকের বঙ্গবন্ধু হত্যার আত্মস্বীকৃত খুনি মাজেদ গ্রেফতারের পর একটি স্ট্যাটাস দেন। স্ট্যাটাসে তিনি বলেন ‘কেউ পারেনি যা, পেরেছে করোনাঃ করোনার ভয়ে ভারত থেকে পালিয়ে এসে ঢাকায় গ্রেপ্তার বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনি মাজেদ #স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী’।
এই স্ট্যাটাসের কমেন্টে বিশ্ববিদ্যালয়ের কমল ছন্দ নামের ওই ছাত্রী কমেন্ট করে। কমেন্টে ছাত্রী বলেন ‘ ভাইয়া শেখ মুজিব যদি খুন না হতো তাহলে কি সে এখনো পর্যন্ত বেচে থাকত?মুজিবর রহমান অনেক বয়স পরই মারা গেছেন।কিন্তু আমরা আদিখ্যেতা জাতি একজনের খুনের বিচার করতে করতে ভুলেই যায় প্রতিদিন কতশত মানুষ আমাদের আশেপাশে খুন হচ্ছে, গুম হচ্ছে। আমরা পুরাতন কাসন্দী নিয়ে খুব বেশি ঘাটাঘাটি করতে পছন্দ করি।’
মন্তব্যটি মুহুর্তের মধ্যেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হলে ওই শিক্ষার্থীর বহিষ্কারসহ উপযুক্ত বিচার দাবী করেছে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাবেক ও বর্তমান নেতা- কর্মীরা। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রতি ওই শিক্ষার্থীর ছাত্রত্ব বাতিলসহ উপযুক্ত শাস্তির দাবী জানিয়েছেন ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি শাহিনুর রহিমান শাহিন, সাধারণ সম্পাদক জুয়েল রানা হালিম, সাবেব যুগ্ন-সম্পাদক শামীম আহসান, আনিচুর রহমান আনিচ, সেলিম, সাবেক অর্থ-সম্পাদক ইমাম হাসান এবং ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক পদ প্রত্যাশী নাসিম আহমেদ জয়।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি রবিউল ইসলাম পলাশ বলেন ‘ বিষয়টি খুবই ন্যাক্কারজনক। জাতির জনকের খুনির পক্ষে কথা বলেছে ওই ছাত্রী। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে ওই ছাত্রীর বহিঃস্কারের দাবি জানাচ্ছি।
ইবি শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বঙ্গবন্ধুকে অবমাননা মানে বাংলাদেশকে অস্বীকার করা। এই রকম ঘৃনীত কাজ যারা করতে পারে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষন করছি।
এবিষয়ে ভিসি প্রফেসর ড. হারুনুর-উর-রশিদ আসকারী বলেন, কোন শিক্ষার্থী বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে এমন বাজে মন্তব্য করলে সে আর শিক্ষার্থী থাকে বলে আমার মনে হয় না। আমরা সন্ধ্যার পরে তদন্ত কমিটি গঠন করে তাকে বিচারের আওতায় এনে প্রাথমিকভাবে ছাত্রত্ব বাতিলের ব্যবস্থা করবো।
এম বি রিয়াদইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধিমোবা: ০১৭৪৫-৭৫৪১২২তাং, ০৭.০৪.২০২০