শ্রীমঙ্গলে ইসলামপুর (সিন্দুরখান) গ্রামে পূর্ব শক্রতার জের ধরে সৎ ভাই, বোন ও ভ্রাতুসপুত্রদের পৃথক পৃথক হামলায় নিহত মোঃ হাসান মিয়া (২০) ও তার মা মায়া বেগম (৬০) হত্যার পৃথক দুই ঘঠনায় ( মামলা নং- ৩৭৮/১৯ (শ্রী) ও শ্রীমঙ্গল থানার মামলা নং- ০১, তারিখ ঃ ০১/১২/২০১৯ইং) আজও দঃবিঃ আইনের ৩০২ ধারা সংযুক্ত করা হয়নি। ভাইকে হত্যার পর মাকেও পরিকল্পিত ভাবে হত্যার ঘঠনায় আতৎকিত হয়ে পড়েছেন মামলার বাদী সিএনজি চালক মোঃ জাফর আলী। সৎ ভাই, বোন ও ভ্রাতুসপুত্রদের লোকজন মামলা তুলে নিতে দেয়া হচ্ছে হুমকি। সৎ ভাই স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা এবং বোন সিলেট জেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা প্রভাবশালী হওয়ায় পুলিশও বিষয়টি গুরুত্ব দিচ্ছেনা। চলমান মামলায় যে ভাবে পৃথক পৃথক মামলার বিষয়টি সঠিক সময়ে আদালতকে যতাযতভাবে আদালতকে অবহিত করার প্রয়োজন ছিল পুলিশ সে বিষয়টিও গুরুত্বসহকারে দেখেনি। মামলার বাদী মোঃ জাফর জানান- মামলা নং- ৩৭৮/১৯ (শ্রী) মামলায় বিগত ১৫/০৩/২০২০ইং মৌলভীবাজার জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট, ১নং আমলী আদালতে ঘঠনার মূল রহস্য উদঘাটন ও অজ্ঞানাতনামা আসামীদের শনাক্ত পূর্বক গ্রেফতার করার লক্ষ্যে আসামী পারভীন বেগমের ৫দিনের রিমান্ড আবেদন করেন (স্বারক নং- ৮৮৭, তারিখ ঃ ১৮/০৩/২০২০ইং) মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা শ্রীমঙ্গল থানার এসআই মোহাম্মদ আল আমিন। কিন্তু, আবেদনে হত্যা মামলা হিসাবে অন্তভুক্ত করার আবেদন জানাননি তদন্তকারী কর্মকর্তা। অপরদিকে, আদালতের মাধ্যমে গত ১৫/০৩/২০২০ইং জেলা কারাগারে আটক পরভীন বেগম জেলা ও দায়রা জজ আদালতে ( ফৌজদারী বিবিধ মামলা নং-৩৮৬/২০২০ইং) জামিনের দরখাস্ত করেন। কিন্তু, জেলা ও দায়রা জজ আদালতে ( জিআর-৩৭৮/১৯ (শ্রী) মূল নথিতে পুলিশের রিমান্ডের আবেদন সংশি¬¬স্ট কাগজাত দেওয়া হয়নি। মায়া বেগম এর সুরতহাল রির্পোটে মারামারিতে গুরুতর জখম প্রাপ্ত হইয়া চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুর কারণ উলে¬¬খ থাকা সত্তেও পুলিশের পক্ষ থেকে হত্যার বিষয়টি গুরুত্ব দেয়া হয়নি। একই ভাবে গত ২০১৯ সালের ৯ ফেব্র“য়ারী উপজেলার রাজঘাট চা বাগানের লাল টিলা বস্তির চৈতন মুন্ডার বাড়িতে প্রকাশ্যে সৎ ভাইয়ের স্ত্রী পারভীন বেগমের ভাই রিপন মিয়া, তার ভ্রাতুসপুত্র জয় মিয়া ও এলাকার নাঈম মিয়া মিলে ভাই হাসান মিয়া (২০) এর উপরে আক্রমণ রক্তাক্ত জখম করে। এ ঘঠনায় শ্রীমঙ্গল থানার (মামলা নং- ০১, তারিখ ঃ ০১/১২/২০১৯ইং) দায়ের করা হয়। ঘটনার ১৫ দিন পর অর্থাৎ ২৫ ফেব্র“য়ারী সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাসান মৃত্যু বরণ করেন। কিন্তু, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা একইভাবে আদালতকে যতাযতভাবে মৃত্যুর বিষয়টি অবগত করেননি। আসামীরা মারামারির মামলায় জামিন প্রাপ্ত হওয়ায় এবং পৃথক পৃথক হত্যা কান্ডের ঘঠনায় আজও দঃবিঃ আইনের ৩০২ সংযুক্ত না হওয়ায় আসামীরা প্রকাশ্য ঘোরা ফেরা করছে এবং একাধিকবার হুমকি দিচ্ছে মামলা প্রত্যাহার করার জন্য।