বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে ভারত থেকে আসা ৪৪ বাংলাদেশি পাসপোর্ট যাত্রীর মধ্যে ৪০ জন যাত্রীকে বেনাপোল বলফিল্ডে অবস্থিত পৌর বিয়ে বাড়ি কমিউনিটি সেন্টারে এবং ২ জন যাত্রীকে উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ও ২ জন যাত্রীকে যশোর সদর হাসপাতালে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারান্টাইনে রাখা হয়েছে।
সোমবার (৬ এপ্রিল) বেলা ১২টার সময় ভারত থেকে বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশনে প্রবেশ করলে তাদের পাসপোর্টের কার্যক্রম শেষে বেনাপোল
পৌর বিয়ে বাড়ি কমিউনিটি সেন্টারে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে দুইজনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ও দুইজনকে যশোর সদর হাসপাতালে
পাঠানো হয়েছে।
বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশনের স্বাস্থ্য কেন্দ্রের ডাঃ জাহিদুল ইসলাম জানান, সোমবার বেলা ১২টার সময় ভারত থেকে আসা ৪৪ জন যাত্রীকে
প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারান্টাইনে পাঠানো হয়েছে। উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের নির্দেশে তাদেরকে বেনাপোল পৌর বিয়ে বাড়ি কমিউনিটি সেন্টারে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারান্টাইনে পাঠানো হয়েছে। আর তাদের মধ্যে যদি কারও অতিরিক্ত তাপমাত্রা বা অন্য কোন সমস্যা মনে হয়, তবে তাদেরকে শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে অথবা যশোরে পাঠানো হবে।
শার্শা উপজেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভুমি) খোরশেদ আলম
চৌধুরী জানান, ভারত থেকে যে সকল পাসপোর্টযাত্রী বাংলাদেশে প্রবেশ করবে, তাদের স্বাস্থ্য ঝুঁকি এড়াতে কোয়ারেন্টাইনে রেখে স্বাস্থ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে, তারপর তাদেরকে বাড়ী পাঠানো হবে। কেননা,
তারা ভারত থেকে ফিরে নিজ নিজ বাড়ি গিয়ে সরকার ও স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ কিংবা চিকিৎসকদের পরামর্শ মানছে না। ১৪ দিন বাড়িতে অবস্থানের
কথা বলা হলেও তা না মেনে, নিজেদের ইচ্ছে মত পাড়া-মহল্লা কিংবা হাট বাজারে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। সে কারনে স্বাস্থ্য ঝুঁকি থেকেই যাচ্ছে।
সেজন্য দেশের স্বাস্থ্য বিভাগের পরামর্শ মোতাবেক এই ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে।
বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশনের ওসি আহসান হাবীব ৪৪ জন বাংলাদেশি যাত্রী ফেরত আসার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
উল্লেখ্য, ভারত ফেরত এসব যাত্রীরা ভারত লকডাউনের আগেই ট্যুরিস্ট ও মেডিকেল ভিসা নিয়ে ভারতে যায়। করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়লে ভারত
বাংলাদেশি যাত্রীদের শর্ত সাপেক্ষে দেশে ফেরার অনুমতি দেয়। কোলকাতাস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশন থেকে স্বাস্থ্যসনদ গ্রহনের পর বিশেষ অনুমতি সাপেক্ষে পশ্চিমবাংলা লকডাউনেরর পরও তারা দেশে ঢোকার অনুমতি পায়।