মৌলভীবাজারে খাদ্য সংকট ঃ সরকারী ত্রান পৌছায়নি এখনও বিভিন্ন এলাকায়

মশাহিদ আহমদ, মৌলভীবাজার ঃ মৌলভীবাজারে করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে খাদ্য সংকটে পড়েছে সাধারণ মানুষ। করোনাভাইরাস আতঙ্কে
স্তব্ধ হয়ে পড়েছে জীবন। জেলার বড়হাট, কুসুমবাগ, গৌবিন্দ্রশ্রী, ধড়কাপন, শেখের গাও, কাজিরগাও, দরগামহল-া, বনবিথি আবাসিক এলাকা, সুলতানপুর, সৈয়ারপুর, কাশিনাথ রোড়, কলিমাবাদ, ভকেশনাল রোড়, সুনাপুর (বড় বাড়ী) এলাকা, ওয়াবপদা, সিলেট রোড, শ্রীমঙ্গল রোড, কোর্ট রোড, কুলাউড়া রোড, সাইফুর রহমান রোড, কোট রোড, শমশের নগরসড়ক, বিভিন্ন ইউনিয়নের একাধিক গ্রামসহ আশে পাশে বসবাসরত লোকজন সবচেয়ে বেশী সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন। সরকারী নির্দেশনা থাকলেও জেলার অধিকাংশ এলাকায় এখনো সরকারী ত্রান ঘরে ঘরে পৌছেনি। কিছু কিছু এলাকায় সরকারী ভাবে ত্রান বিতরণের সংবাদ আসলেও তা পর্যাপ্ত নয়। এবং অধিকাংশ ক্ষেত্রে তা আবার সঠিক জায়গায় পৌছায়নি। আতঙ্কে
অনেকটাই ব্যস্ততম জেলা এখন মানবশুন্য। গৃহ বন্ধি। দেশে করোনাভাইরাসের বিস্তৃতি মোকাবেলায় সরকার ইতোমধ্যে গত ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে সরকার। এবং পরবর্তীতে ছুটি বাড়িয়ে ৯ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়ানো হয়। সর্বশেষ আজ ৫ এপ্রিল ছুটি আবারো বাড়িয়ে আগামী ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত ঘোষনা করে সরকার। বন্ধ রয়েছে দোকানপাট,হোটেল-রেস্তোরাঁ,জনসমাগমসহ সকল গণপরিবহন। তবে সার্বক্ষনিক ওষুধ ও হাসপাতাল খোলা রাখা হয়েছে।
নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত মুদি দোকান,কাঁচাবাজারসহ নিত্যপণ্যের দোকানপাট খোলা রাখা হলেও প্রায়ই মানবশুন্য। ভাইরাসের সংক্রমণ
প্রতিরোধে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিতকরণ ও সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষেত্রে প্রশাসনকে সহায়তা করতে পুলিশের পাশাপাশি টহল দিচ্ছে সেনাবাহিনী। এমন পরিস্থিতিতে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছে খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষ। দিনমজুর, রিকশাচালক,বাস শ্রমিকসহ দিন এনে দিন
খায় এমন মানুষ সংকটে পড়েছে খাদ্যের। প্রবাসী অধ্যশিত জেলায় অথিতে কোন দুযর্াোগ- দেখা দিলে প্রবাসীরা বড় অংকের সাহায্য ও সহযোগীতার
হাত বাড়াতো। কিন্তুু বিশ্বজুড়ে বর্তমান অবস্থার কারণে প্রবাসীরাও রয়েছেন মহা সংকটে। রয়েছেন নিজেরাই আতংকে, রয়েছেন গৃহবন্ধি।
একাধিক শ্রমিক জানান- কোনো কাজ করতে পারছিনা। সরকারীভাবে ত্রানও পাচ্ছিনা। ঘরে খাবার নাই, পরিবার নিয়ে কিভাবে থাকব সেটা বুঝে উঠতে পারছি না। সিএনজি অটো চালক সজল , আইয়ুব ,কমল,মখলিছসহ একাধিক চালক বলেন, আমি প্রতিদিন ৪ শত ৫শত টাকা জমার শর্তে ভাড়ায়
অটো চালাই। গত কয়েক দিন থেকে সিএনজি অটো নিয়ে বাইরে যেতে পারছি না। রোজগার বন্ধ। এমন চললে না খেয়ে মরতে হবে। এদিকে, শহরের ৯টি ওয়ার্ডের বস্তি বা ছোট খাটো বাসা বাড়িতে ,সরেজমিন গিয়ে দেখা
যায়, অনেক হত দরিদ্ররা বাসায় গৃহবন্ধি। সরকারের নির্দেশনা অনুয়ায়ী ঘর এখনো