নাটোরের গুরুদাসপুরে দীর্ঘদিন যাবৎ উপজেলার বিয়াঘাট ইউনিয়নের আত্রাই নদ শুকিয়ে মাছ শিকার করছিলো কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তিরা। অবৈধ ভাবে ওই সকল কার্যক্রম চললেউ কেউ এগিয়ে এসে বন্ধ করেনি। দীর্ঘদিন পরে হলেও অবশেষে আত্রাই নদ শুকিয়ে মাছ শিকারের কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. তমাল হোসেন শনিবার বিকালে অভিযান চালিয়ে আত্রাই নদের বাঁধ অপসারন করে সেচ কাজে ব্যবহৃত শ্যালোমেনিগুলো জব্দ করেছেন। তবে এর সাথে জড়িত ব্যক্তিরা পলাতক থাকায় তাদের আটক করা যায়নি। অভিযানের পর প্রাণ ফিরে পেয়েছে আত্রাই নদ। পরে জব্দকৃত মেশিন গুলো উপজেলা মৎস অধিদপ্তরের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
উপজেলা প্রশাসন সুত্রে জানাগেছে, দেশের বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক ও অনলাইন পত্রিকায় ‘ আত্রাই নদের পানি সেচে মাছ শিকার’ নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। সংবাদটি প্রকাশিত হওয়ার পর পরই উপজেলা নির্বাহী অফিসার
এনিয়ে প্রশাসন ও মৎসবিভাগের তৎপরতা শুরু হয়। পরে নদের স্বাভাবিক গতি পথ ফিরিয়ে আনা, মাছের বিচরণ, প্রজনন ও জীববৈচিত্র্য রক্ষায় অভিযান চালানো হয়। অভিযানের সময় নদের পানি সেচ ও মাছ ধরার সাথে জড়িত ব্যক্তিরা সব কিছু ফেলে পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ ও গ্রাম পুলিশের সদস্যরা নদের বাঁধটি অপসারন করে সেচ কাজে ব্যবহৃত পাঁচটি শ্যালো ইঞ্জিন জব্দ করে নিয়ে আসে। এসময় উপস্থিত ছিলেন গুরুদাসপুর থানার এসআই শহিদুল ইসলাম, এসআই ময়েজ উদ্দিন, এএসআই আবুল কালাম আজাদ, এএসআই রুবেলসহ কয়েকজন পুলিশ সদস্য।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার জানান, জব্দকরা শ্যালো ইজ্ঞিনগুলো মৎস বিভাগে হস্তান্তর করা হবে। বিধি অনুসারে পরবর্তী পদক্ষেপ নেবেন মৎস কর্মকর্তা।
স্থানীয় সুত্রে জানাগেছে, মাছের প্রজনন বৃদ্ধি ও জীববৈচিত্র্য রক্ষায় উপজেলা আত্রাই নদ খনন করে গভীর করা হয়েছিল। ওই নদে পানি থাকায় ছোট বড় নানা প্রজাতির মাছের বিচরণ বেড়েছিল। লোভ সামলাতে না যোগেন্দ্রনগর গ্রামের রবিউল করিম ও মনির হোসেন নামে দুই নদের পানি শুকিয়ে মাছ ধরছিলেন।
উপজেলা প্রশাসনের অভিযান, নদের বাঁধ অপসারণ করে নদের স্বাভাবিক গতি ফিরিয়ে দেওয়ায় খুশী এলাকার মানুষ। স্থানীয়দের তথ্যমতে, চলনবিলের প্রবেশ পথে আত্রাই নদটি হওয়ায় বোয়াল, আইড়সহ নানা প্রজাতির মাছের অভায়শ্রম তৈরি হয়েচিল। দুর্বৃত্তদের এ কার্যক্রম সফল হলে এলাকায় মাছ সংকটের আশঙ্কা দেখা দিতো।