লালমনিরহাট সদর উপজেলার পঞ্চগ্রাম ইউনিয়নের আলাবকস বলাইর পাঠ গ্রামে বাসন্তি দেবি মন্দীরের আদালতের দায়েরকৃত ৫৬/২০ (লাল) ধারা ফৌ : কা: বি: ১৪৪ এর স্বাক্ষী বিমল চন্দ্র মোহন্ত এর বাড়ী ও দোকানে হামলা চালিয়ে দোকানের টাকা লুটপাটসহ ৪ জনকে পিঠিয়ে আহত করেছে ওই মামলার বিবাদী ও তার লোকজন। এঘটনায় বিমল চন্দ্র মোহন্ত বাদী হয়ে ৪ এপ্রিল শনিবার ১০ জনের বিরুদ্ধে লালমনিরহাট সদর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে। আহতরা হচ্ছে, বাবলু ও তার স্ত্রী কাকলী,বিমল চন্দ্র মোহন্ত ও তার স্ত্রী নিলু বালা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। মামলার আসামীরা হচ্ছে, মৃত রাম প্রসাদ ঈশরের পুত্র বলরাম প্রসাদ ঈশর,গঙ্গা চন্দ্রের পুত্র মিঠু চন্দ্র বর্মন,নগেন্দ্র চন্দ্রের পুত্র সুদা চন্দ্র বর্মন,হরিপদ রায়ের পুত্র শিবু রায়,সুধা চন্দ্রের পুত্র কৃø চন্দ্র বর্মন,মৃত সুজিত চন্দ্রের পুত্র মহেশ চন্দ্র বর্মন,মৃত বাউদিয়া চন্দ্রের পুত্র বিরেন রায়,মনোরম মহন্তর পুত্র শঙ্কর মোহন্ত, নমিতা রানী ও ভারতী রানী। এজাহারে বলা হয়েছে, উলেখিত মন্দীর জায়গা আসামী বলরাম প্রশাস ঈশর গং দখল করার পায়তারা করলে বিরেন্দ্র নাথ সরকার বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন যার নম্বর ৫৬/২০ (লাল) ফৌ: কা: বি: ধারা ১৪৪। আসামীগন গত ৩১/৩/২০২০ ইং রাত ১১ টায় লাঠি সোডা রড ইত্যাদি হােিত নিয়ে মন্দীরে প্রতীমা প্রবেশ করে। ওই মামলায় স্বাক্ষী হওয়ায় আসামীগন গত ০১/০৪/২০২০ ইং সকাল সাড়ে ১০ টায় ১নং আসামীর হুকুমে ধারালো অস্ত্রে সস্ত্রে সজ্জিত হইয়া বাড়ীতে প্রবেশ করে মারপিঠ করলে ৪ জন আহত হয়। পরে স্থানীয়রা চুটে আসলে আসামীগন পালিয়ে যায়। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। এসময় আসামীরা তাদের গালামাল দোকানের মালামাল ও নগত টাকা সহ প্রায় লক্ষাধিক টাকা লুটতলাজ করে নিয়ে য়ায়। উলেখ্য গত ২৩ মার্চ সংবাদ মন্দীরের দায়ের মামলার বাদী সংবাদ সম্মেলন করেন। সনাতন ধর্মবলম্বী সচেতন ব্যাক্তিবর্গ ছিলেন। এঘটনায় বীরেন্দ্র নাথ সরকার প্রতীকার চেয়ে সদর থানায় সাধারন ডায়েরী করেছেন। যার নম্বর ৬২৯ তারিখ-১৩/০২/২০২০ইং। গত ৩০/০১/২০২০ ইং তারিখে মন্দীরে স্বরস্বতী পজা করতে পারেনি ৪৪টি পরিবার। ডায়েরী করায় প্রতিপক্ষ বলরাম প্রসাদ ঈশোরগং অপর পক্ষের লোকজনদের উপর লাঠি সোটা ইত্যাদি নিয়ে হামলা চালায়। এতে উভয় পক্ষের কয়েকজন আহত হয়। এঘটনায় অপর পক্ষের বাসন্তি দেবী মন্দীরের ৪৪টি পরিবার পুজা অর্চনা থেকে বঞ্চিত হয়েছে। লালমনিরহাট সদর থানার ওসি মাহফুজ আলম জানান, বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নিবেন জানান।