নাটোর প্রতিনিধি.
মাছের প্রজনন বৃদ্ধি ও জীববৈচিত্র্য রক্ষায় নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলা আত্রাই নদ খনন করা হয়েছিল এক বছর আগে। খননের কারনে ওই নদে পানি থাকায় মিলছে
ছোট বড় নানা প্রজাতির মাছ। এসব মাছ ধরতে ওই নদে বাঁধ দিয়ে পানি সেঁচে মাছ ধরছেন প্রভাবশালী ব্যক্তিরা। উপজেলার বিয়াঘাট ইউনিয়নের
যোগেন্দ্রনগর এলাকায় চলছে মাছ ধরার এ কর্মযজ্ঞ।
উপজেলা মৎস কর্মকর্তা মো. আলমগীর কবির জানান ‘১৯৫০ দি প্রটেকশন অ্যান্ড
কনজারভেশন অব ফিস এ্যাক্ট-১৯৫০; সাধারণভাবে মৎস্য সংরক্ষণ আইনে বলা আছে
নদী-নালা, খাল ও বিলে সংযোগ আছে এরুপ জলাশয়ে প্রতি বছর ১এপ্রিল থেকে ৩১ আগষ্ট ( চৈত্র মাসের মাঝামাঝি হতে ভাদ্র মাসের মাঝামাঝি ) পর্যন্ত শোল, গজার, টাকিসহ ধরনের মাছের পোনা ঝাঁক বা দম্পতি ( মা মাছ ) মাছ ধরা ও
ধ্বংস করা আইনে নিষিদ্ধ রয়েছে। আইন ভঙ্গের জন্য কমপক্ষে ১ মাস থেকে এক বছরের সশ্রম কারাদ-র বিধান রয়েছে।
গতকাল বৃহষ্পতিবার দুপুরে গিয়ে দেখাগেছে, নদে বাঁধ দিয়ে প্রায় এক কিলোমিটার এলাকা জুড়ে বিভাজন করা হয়েছে। সেখানে পাঁচটি শ্যালো
মেশিন বসিয়ে পানি সেচে শুকিয়ে ফেলা হচ্ছে আত্রাই নদ।
মাছ শিকারের সাথে জড়িতরা দাবি করেন, এলাকার কবরস্থান ও মসজিদের উন্নয়নে অনুদান দিয়ে নদী সেচে মাছ শিকার করছেন তারা। এছাড়া স্থানীয়
জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনকে ম্যানেজ করা হয়েছে। পত্রিকায় লিখে লাভ হবেনা বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
নদী শুকিয়ে মাছ শিকার প্রসঙ্গে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তমাল হোসেন বলেন, দেশের চলমান পরিস্থিতির কারনে ব্যস্ত রয়েছেন তিনি। খোঁজ খবর
নিয়ে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।
জেলা প্রশাসক মো. শাহরিয়াজ মুঠোফোনে জানান, নদী শুকিয়ে মাছ শিকার ও জীববৈচিত্র্য নষ্টকরা আইন সংগত নয়। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ইউএনওকে নির্দেশ দিবেন বলে জানান তিনি।