মসজিদে জামাতে নামাজ অব্যাহত থাকবে বলে ঘোষণা দিয়েছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন। তবে নামাজ হবে সংক্ষিপ্ত। নামাজের আগে জীবাণুনাশক দিয়ে পুরো মসজিদ পরিষ্কার করার আহ্বান জানানো হয়েছে। আজ সোমবার ইসলামিক ফাউন্ডেশন থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। দেশের খ্যাতনামা আলেমদের সঙ্গে বৈঠক করে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে ইফা।
এর আগে গত সপ্তাহে খ্যাতনামা আলেমদের সঙ্গে করোনা ভাইরাস নিয়ে ইসলামিক ফাউন্ডেশন জনগণের সুরক্ষার বিষয়ে পরামর্শ প্রদানের লক্ষ্যে বৈঠক করে। সেই বৈঠকেও আলেমরা মসজিদগুলোতে জুমা ও জামাতে মুসল্লিদের সংখ্যা সীমিত রাখার পরামর্শ দেন।
২৪ তারিখের ওই বৈঠকে মসজিদ বন্ধ থাকবে না, তবে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ থেকে সুরক্ষা বিষয়ে নিশ্চিত না হয়ে মসজিদে গমন না করার পরামর্শ দেওয়া হয়। আলেমদের পরামর্শ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে প্রকাশ করে ইফা।
ইফার আজকের বৈঠক থেকে যে সিদ্ধান্ত আসে তা হলো: মসজিদে নিয়মিত আজান, ইকামত, জামাত ও জুমার নামাজ অব্যাহত থাকবে। তবে জুমা ও জামাতে মুসল্লিগণের অংশগ্রহণ সীমিত থাকবে। ৮ ধরনের মুসল্লিদের মসজিদে না যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছে ইফা। সেগুলো হলো:
১. যারা করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত। ২. যাদের সর্দি, জ্বর, কাশি, গলা ব্যথা ও শ্বাসকষ্ট আছে। ৩. যারা আক্রান্ত দেশ ও অঞ্চল থেকে এসেছেন। ৪. যারা উক্তরূপ মানুষের সংস্পর্শে গিয়েছেন। ৫. যারা বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত,। ৬. বয়োবৃদ্ধ, দুর্বল, মহিলা ও শিশু। ৭. যারা অসুস্থদের সেবায় নিয়োজিত। ৮. যারা মসজিদে গিয়ে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা করেন তাদেরও মসজিদে না আসার অনুরোধ জানানো হয়েছে।
ইফা বৈঠক থেকে আরও বলা হয়, যারা মসজিদে জুমা ও জামাতে নামাজ পড়তে যাবেন তারা সকলেই যাবতীয় সুরক্ষা ব্যবস্থা অবলম্বন করবেন। ওজু করে নিজ নিজ ঘরে সুন্নত ও নফল আদায় করবেন। শুধু জামাতের সময় মসজিদে যাবেন এবং ফরজ নামাজ শেষে দ্রুত ঘরে চলে আসবেন। সাবান দিয়ে বারবার হাত ধোয়া, মাস্ক পরা, জীবাণুনাশক দ্বারা মসজিদ ও ঘরের মেঝে পরিষ্কার রাখাসহ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সকল নির্দেশনা মেনে চলবেন।
ইফা মসজিদের খতিব, ইমাম, মুয়াজ্জিন ও মসজিদ কমিটিকেও করণীয় সম্পর্কে ৮টি পরামর্শ দেন। পরামর্শগুলো হলো:
১. পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের আগে সম্পূর্ণ মসজিদকে জীবাণুনাশক দিয়ে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করা এবং কার্পেট-কাপড় সরিয়ে ফেলা। ২. জামাত সংক্ষিপ্ত করা। ৩. জুমার বয়ান, খুতবা ও দোয়া সংক্ষিপ্ত করা। ৪. বর্তমান সংকটকালে দরসে হাদিস, তাফসির ও তা’লীম স্থগিত রাখা। ৫. ওযুখানায় অবশ্যই সাবান ও পর্যাপ্ত টিস্যু রাখা। ৬. বর্তমান পরিস্থিতিতে জামাতের কাতারে ফাঁক ফাঁক হয়ে দাঁড়ানো। ৭. ইশরাক, তিলাওয়াত, জিকির ও অন্যান্য আমল ঘরে করা। ৮. ঢাকাসহ দেশের কোনও মসজিদে যদি কোনও বিদেশি অবস্থান করেন তাদের বিষয়ে বিস্তারিত বিশ্লেষণ করে সত্ত্বর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া।