নাটোরের গুরুদাসপুরে সাদা সোনা হিসাবে খ্যাতি পেয়েছে রসুন। বাম্পার ফলন হওয়ায়
রসুন চাষীদের মুখে এখন সোনার হাসি ফুটেছে। এ মৌসুমেও ব্যাপক হারে রসুন চাষ করেন কৃষকরা। বড়দের পাশাপাশি পরিবারের ছোট সদস্যরাও ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছে রসুন তোলার কাজে।
জানা যায়, সেচ ও সারের পর্যাপ্ত সরবরাহ এবং আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবার
গুরুদাসপুরে রসুনের বাম্পার ফলনের মাধ্যমে কৃষকরা লাভবান হবে বলে মন্তব্য করেছেন
অনেকে। আমন ধান কাটার পরই কৃষকেরা রসুন চাষের জন্য জমি তৈরি করেন। এরপর রসুনের
কোয়া জমিতে পুতে দেন। রসুনের কোয়া জমিতে পুতে দেওয়ার ৩/৪ দিন পর খড়বিচালি
দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয় ক্ষেত। কিছুদিন পরেই খড় ও নাড়ার ফাঁক দিয়ে উঁকি মারে সবুজ রসুনের চারাগাছ। এরপর সঠিক পরিচর্যা ও ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে ৩ মাসের মধ্যে ঘরে তোলা হয় রসুন। মাঠ থেকে সংগ্রহ করার পরে ছোট, মাঝারি ও বড় এই তিনটি গ্রেডে ভাগ করা হয় রসুন। এরপর বিক্রির জন্য বাজারে নেওয়া হয় সাদা সোনা খ্যাত এই রবি ফসল।
উপজেলার শ্রীপুর গ্রামের রসুন চাষী মামুনুর রশিদ বলেন, প্রতি বিঘা জমিতে রসুনের বীজ, বীজ বপন, সার, কীটনাশক, শ্রমিকদের মজুরী, বিচালী সব মিলে প্রায় ৩০-৩৫ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। ভালো দাম পেলে বিঘা প্রতি এক লাখ টাকা আয় হবে। গড়ে ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকা লাভবান হওয়ার আশা ব্যাক্ত করেন তিনি।
উপজেলা কৃষি অফিসার আব্দুল করিম জানান, এবার ৫ হাজার ৬৫০ হেক্টর কৃষি জমিতে
রসুনের বাম্পার ফলন হয়েছে। তাতে সম্ভাব্য উৎপাদন ধার্য্য করা হয়েছে ৫০ হাজার
মেট্রিকটন। গত বছর ৫ হাজার ৫শ’ হেক্টর জমিতে ৪১ হাজার ২৫০ মেট্রিকটন রসুন
উৎপাদিত হয়েছিল।