বীরগঞ্জের ওসি সাকিলার বিরুদ্ধে ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ হেড কোয়াটার্সে দেয়া অভিযোগের তদন্ত সাময়িক স্থগিত

বীরগঞ্জে ফিল্মি স্ট্যাইলে ধর্ষককে আড়াল করতে দুই সাংবাদিককে মামলায় ফাসিয়ে দেওয়ার ঘটনায় ওসি সাকিলার বিরুদ্ধে পুলিশ হেড কোয়াটার্সে দেয়া অভিযোগের তদন্ত সাময়িক স্থগিত করা হয়েছে।

বীরগঞ্জ প্রেসক্লাব কার্যালয়ে এসে থানায় দেয়া অভিযোগের ফটোকপি দিয়ে রশিদা বেগম (ধর্ষিতা) তার স্বামী খায়রুল ইসলাম ২৩ অক্টোব/২০১৯ইং সকালে জানান, ধর্ষনের মামলা থানায় না নেয়ায় জেলা পুলিশ সুপারের কাছে অভিযোগ করে তারা। পুলিশ সুপার মামলা গ্রহন ও ঘটনা তদন্তের নিদের্শ দিয়ে আবার থানায় পাঠিয়ে দেন। বীরগঞ্জ থানার সাবেক ওসি সাকিলা পারভীন (বর্তমানে গাইবান্ধা) পুলিশ সুপারের কমান্ড পদদোলিত করে ধর্ষক হাইব্রীড আওয়ামী লীগ (বিএনপি নেতা) খালেক সরকারকে থানায় ডেকে এনে ধর্ষিতার মুখোমুখী করে। থানার এসআই এরশাদ ও তহিদুলের দ্বারা মোবাইলে ধর্ষিতার ইচ্ছার বিরুদ্ধে (সোনাগাছির ন্যায়) ভিডিও ধারন করে। ধর্ষক ও ওসি ধর্ষিতাকে গালিগালাজ ও ভয়ভীতি দেখিয়ে থানা থেকে বের করে দেয়। ২৪ অক্টোবর বাড়ী থেকে পার্শ্ববতী বাবুলের বাড়ীতে তুলে নিয়ে গিয়ে জোর করে একাধিক ফাঁকা ষ্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নিয়েছে।

এই ঘটনা পত্রিকায়, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ও অনলাইন পত্রিকায় প্রকাশ হলে ওসি সাকিলা (বর্তমানে গাইবান্ধা) ক্ষিপ্ত হয়ে ধর্ষনের ঘটনা আড়াল করতে ধর্ষক খালেক সরকারের কাছে মোটা অংকের ঘুষ ও অভিযোগ নিয়ে বীরগঞ্জ প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি আমাকে (মোঃ আবেদ আলী) যুগ্ন সাঃ সম্পাদক সাংবাদিক ও কলামিষ্ট মোশাররফ হোসেনকে থানায় ডেকে এনে হাজতে আটক রেখে বাবা-মা’র নাম শুনে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে দিয়েছে।

ওসি সাকিলা গভীর রাতে আমাদের বাড়ীতে অনধিকার প্রবেশ করে পরিবারের লোকজনকে জিম্মি ও তল্লাশী করে ল্যাপটপ মোবাইলসহ বেশ কিছু মূলবান দলিলপত্র নিয়ে গেছে। ওসি সাকিলা পারভীন ধর্ষক খালেককে থানায় ডেকে এনে রাত আনুমানিক সারে ১১টার সময় সাংবাদিক মোঃ আবেদ আলীকে প্রাননাশের হুমকি দিয়ে বলে হাজত থেকে বের হলে তোর হার-মাংস আলাদা করে ফেলব। এ হুমকির বিষয় জিডি এন্ট্রি করার আবেদন করা হলেও জিডি এন্ট্রি করা হয়নি।

উল্লেখিত ঘটনায় ওসি সাকিলা পারভীন (বর্তমানে গাইবান্ধা) সহ তার সহযোগিদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তির আবেদনের প্রেক্ষিতে ইন্সিপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ বাংলাদেশ পুলিশ হেড কোয়টার্স, ঢাকা অভিযোগ তদন্ত করার জন্য দিনাজপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বিশেষ শাখা) সচীন চাকমাকে দায়িত্ব দিয়েছেন।

দায়িত্বপ্রাপ্ত তদন্তকারী অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বিশেষ শাখা) সচীন চাকমা অফিস স্মারক নং-১৫৫২ তারিখ ১৬ মার্চ/২০২০ইং মোতাবেক ২৯ মার্চ সকাল ১০ টায় বাদীসহ ৬ জনকে তার অফিসে স্বাক্ষাতকারের নোটিশ দিয়েছেন। তদন্তকারী কর্মকর্তা মোবাইল ফোনে সরাসরি সারাদেশে করোনা ভাইরাসের কারনে নিদ্ধারিত তারিখ ও সময়ে সাক্ষাকার নেওয়া সম্ভব হবে না মর্মে সাময়িক স্থগিত করার বিষয় অবহিত করেছেন।