রাজশাহীতে প্রস্তুত হচ্ছে করোনা টেস্টের ল্যাব

রাজশাহীতে প্রস্তুত হচ্ছে করোনা ভাইরাস টেস্টের ল্যাব। কয়েকদিনের মধ্যে করোনা রোগীর প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। ইতিমধ্যে কিটস ও পলিমার চেইন রিঅ্যাকশন (পিসিআর) মেশিনসহ অন্যান্য সরঞ্জাম এসে পৌঁছেছে।

রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজের (রামেক) ভাইরোলজি বিভাগের ল্যাবে এই পিসিআর মেশিনটি বসানো হচ্ছে। মেশিনটির জন্য আলাদা চারটি কক্ষ নেয়া হয়েছে।

এদিকে শনিবার দুপুরে রাজশাহী সিটি করপোরেশনের (রাসিক) মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন ও সদর আসনের সাংসদ ফজরে হোসেন বাদশা রামেকে করোনা ল্যাবে পিসিআর মেশিন স্থাপন পরিদর্শন করেন।

এ সময় সাংসদ বাদশা বলেন, রাজশাহীতে করোনা রোগী পাওয়া গেলে তাদের চিকিৎসার জন্য রামেক হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য প্রতিদিন এক হাজার করে ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম (পিপিই) আনা হবে। মেয়র এবং আমার ওপর আস্থা রাখুন। আমরা সবাই মিলে কাজ করছি।

রাসিক মেয়র লিটন বলেন, করোনা পরীক্ষার জন্য রামেকে পিসিআর মেশিন ও ল্যাব স্থাপনে কাজ চলছে। আগামী ১ এপ্রিল থেকে রাজশাহীতেই করোনা শনাক্তের পরীক্ষা সম্ভব হবে। রাজশাহীকে নিরাপদ রাখতে আমরা সবাই চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।

অন্যদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় রাজশাহী বিভাগে বেড়েছে হোম কোয়ারেন্টাইনের আওতায় আসা ব্যক্তির সংখ্যা।

বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. গোপেন্দ্র নাথ আচার্য্য জানান, শনিবার রাজশাহী বিভাগের বিভাগের আট জেলায় নতুন ৭৩৫ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে নেয়া হয়েছে। এরমধ্যে রাজশাহীতে ৪৭ জন, চাঁপাইনবাবগঞ্জে ৯, নওগাঁয় ৫৫১, নাটোরে ১১, জয়পুরহাটে ১৫, বগুড়ায় ১, পাবনায় ৭০ ও সিরাজগঞ্জে ৩১ জন। শুক্রবারের চেয়ে এ সংখ্যা দ্বিগুণ। শুক্রবার ছিল ৩২৭ জন। এদিন নওগাঁয় হোম কোয়ারেন্টাইনে ছিল ৭ জন। শনিবার এক লাফেই তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৫১ জনে।

উল্লেখ্য, গত ১০ মার্চ থেকে এ পর্যন্ত বিভাগে ৬ হাজার ৪৭২ জন হোম কোয়ারেন্টাইনে এসেছে। জয়পুরহাটে একজন রোগী আছেন হাসপাতালের আইসোলেশনে। তবে এখন পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত কোনো রোগী শনাক্ত হয়নি।

রামেক অধ্যক্ষ ডা. নওশাদ আলী জানান, করোনা ল্যাব প্রস্তুতের কাজ চলছে। এ সপ্তাহের শেষের দিকে উদ্বোধনের প্রস্তুতি চলছে। এটি চালু হলে রাজশাহী বিভাগের সন্দেহভাজন রোগীদের করোনা টেস্ট হবে এখানেই।

অন্যদিকে রামেক হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. সাইফুল ফেরদৌস জানান, পিসিআর মেশিন ছাড়াও হাসপাতালের চিকিৎসক ও ল্যাবরেটরির জন্য এক হাজার পিপিই, এক হাজার মাস্ক, এক হাজার হ্যান্ড গ্লাভস ও পর্যাপ্ত পরিমাণ স্যানিটাইজার এসেছে।