পাবনার ভাঙ্গুড়া পৌরসভার মেয়র গোলাম হাসনাইন রাসেল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ও থানার পুলিশ কর্মকর্তাদের পার্সোনাল প্রটেকশন ইকুইপমেন্ট (পিপিই) প্রদান করেছেন। শুক্রবার সন্ধ্যায় পৌর মেয়র চিকিৎসক ও পুলিশ কর্মকর্তাদের হাতে এসব পিপিই তুলে দেন। পিপিই পেয়ে চিকিৎসক ও পুলিশ কর্মকর্তারা স্বস্তি প্রকাশ করেছেন।
জানা যায়, ভাঙ্গুড়া উপজেলায় প্রায় দেড় লাখ মানুষ বসবাস করে। এসব মানুষের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় ভাঙ্গুড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসকরা এবং নিরাপত্তা রক্ষায় থানা পুলিশের কর্মকর্তারা কাজ করে যাচ্ছে। কিন্তু করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে চিকিৎসক ও পুলিশ সদস্যদরা বেশ কয়েকদিন ধরে ঝুঁকিতে তাদের দায়িত্ব পালন করছেন। এ অবস্থায় চিকিৎসক ও পুলিশ সদস্যরা সংশ্লিষ্ট উপজেলা প্রশাসন ও পৌর মেয়রের কাছে পার্সোনাল প্রটেকশন ইকুইপমেন্টের জন্য আবেদন জানান। এ প্রেক্ষিতে পৌর মেয়র গোলাম হাসনাইন রাসেল ভাঙ্গুড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসকদের এবং থানার পুলিশ কর্মকর্তাদের পিপিই প্রদান করেন। আগামী দু-একদিনের মধ্যে পৌর কর্মকর্তা ও কর্মচারী এবং স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নার্স ও সাধারণ পুলিশ সদস্যদের মধ্যে আরো পিপিই প্রদান করা হবে বলে জানায় মেয়র। উল্লেখ্য, করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কায় ভাঙ্গুড়া পৌর এলাকায় বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে সাবান ও পানির ব্যবস্থা করা হয়। এছাড়া শহরের বিভিন্ন সড়ক ও আবাসিক এলাকায় জীবাণুনাশক স্প্রে করা হয়।
ভাঙ্গুড়া পৌর মেয়র গোলাম হাসনাইন রাসেল বলেন, করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে প্রতিনিয়ত মানুষকে সচেতন করতে কাজ করে যাচ্ছি। এসব কাজে চিকিৎসক ও পুলিশ কর্মকর্তাসহ সমাজের সুশীল ব্যক্তিরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। তাই তাদের নিরাপত্তা রক্ষায় পিপিইর ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়া স্বেচ্ছাশ্রম দিয়ে যারা জনসচেতনতা সৃষ্টিতে কাজ করছে তাদেরও পিপিই দেয়া হবে।