আমরা ঝুঁকিতে আছি-সচেতন হোন এখনই

আতংকিত না হয়ে সচেতন হন। নিজের নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য, নিজেকে সুরক্ষিত রাখার জন্যই নিজেকে অন্যের নিকট থেকে দূরে রাখুন। জন সমাগম এড়িয়ে চলুন। মাঝে মাঝে সাবান পানি বা স্যানিটাইজার দিয়ে হাত ধুবেন। মুখ, চোখ, নাক স্পর্শ করার পূর্বে হাত ধুয়ে নিন। হাঁচি কাশি দেবার সময় মুখ ঢেকে রাখুন। ঠান্ডা বা ফ্লু আক্রান্ত ব্যক্তির সাথে মিশবেন না। মুখে মাস্ক ব্যবহার করুন। এছাড়াও করোনা প্রতিরোধে অন্যান্য সতর্কতা অবলম্বন করুন; কেননা আমরা ঝুঁকিতে আছি। আশার কথা গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় বিভিন্ন চ্যানেলের খবরে জানা গেছে, গত চব্বিশ ঘন্টায় নতুন কেউ আক্রান্ত হয় নি।
গত ২৪ মার্চ দৈনিক যুগান্তর পত্রিকায় প্রকাশিত খবর অনুযায়ী পাশর্^বর্তী রাষ্ট্র ভারতে করোনায় আক্রান্ত ৪৩৩ জনের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ৮ জনের। মৃত্যুর শতকরা হার ১.৮৪। স্পেনে ৩৩,০৮৯ জন আক্রান্তের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ২২০৬ জনের। মৃত্যুর শতকরা হার ৬.৬৬। জার্মাানীতে ২৭,২৮৯ জন আক্রান্তের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ১১৫ জনের। মৃত্যুর শতকরা হার ০.৪২। যুক্তরাষ্ট্রে ৩৫,২৩০ জন আক্রান্তের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ৪৫৯ জনের। মৃত্যুর শতকরা হার ১.৩০। ইতালির ৫৯,১৩৮ জন আক্রান্তের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ৫,৪৭৬ জনের। মৃত্যুর শতকরা হার ৯.২৫। চীনের ৮১,০৯৩ জন আক্রান্তের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ৩,২৭০ জনের। মৃত্যুর শতকরা হার ৪.০৩। বাংলাদেশে ৩৩ জন আক্রান্তের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ৩ জনের। মৃত্যুর শতকরা হার ৯.০৯ যা ইতালির প্রায় কাছাকাছি। অন্যদিকে আক্রান্তদের মধ্যে মৃত্যুর শতকরা হার সবচেয়ে কম জার্মানীতে। সর্বশেষ আজ সন্ধ্যা পর্যন্ত বাংলাদেশে আক্রান্তের সংখ্যা দাড়ায় ৩৯ এ এবং মৃত্যুর সংখ্যা দাড়িয়েছে ৫ এ। যার শতকরা হার ১২.৮২।
সুতরাং, ঘনবসতির দেশ বাংলাদেশের জনগন এখনো যদি অসেচতন থাকেন তবে এ মৃত্যুর সংখ্যা আরো বাড়তে পারে। আক্রান্তদের বেশির ভাগই সুস্থ্য হয়েছেন। তাই আতংকিত না হয়ে সচেতন হোন। সুরক্ষিত থাকুন।