জেলা কারাগারে আটক পারভীনের জামিন আবেদন না মঞ্জুর

শ্রীমঙ্গলে ইসলামপুর (সিন্দুরখান) গ্রামে পূর্ব শক্রতার জের ধরে সৎ ভাই, বোন ও ভ্রাতুসপুত্রদের পৃথক হামলায় নিহত মায়া বেগম এর ( বাদী- মোঃ জাফর,(জিআর -৩৭৮/১৯ (শ্রী)) মামলায় জেলা কারাগারে আটক সৎ ভাই উমর আলীর স্ত্রী ২নং আসামী পারভীন বেগম এর পুনরায় জামিন আবেদন না মঞ্জুর করেছেন জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক আজ ২৪ মার্চ। মামলার বাদী মোঃ জাফর জানান- একই মামলায় বিগত ১৫/০৩/২০২০ইং মৌলভীবাজার জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট, ১নং আমলী আদালতে ঘঠনার মূল রহস্য উদঘাটন ও অজ্ঞানাতনামা আসামীদের সনাক্ত পূর্বক গ্রেফতার করার লক্ষ্যে আসামী পারভীন বেগমের ৫দিনের রিমান্ড আবেদন করেন ( স্বারক নং- ৮৮৭, তারিখ ঃ ১৮/০৩/২০২০ইং) মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা শ্রীমঙ্গল থানার এসআই মোহাম্মদ আল আমিন। অপরদিকে,) আদালতের মাধ্যমে গত ১৫/০৩/২০২০ইং জেলা কারাগারে আটক পরভীন বেগম জেলা ও দায়রা জজ আদালতে ( ফৌজদারী বিবিধ মামলা নং-৩৮৬/২০২০ইং) জামিনের দরখাস্ত করেন। কিন্তু, জেলা ও দায়রা জজ আদালতে ( জিআর-৩৭৮/১৯ (শ্রী) মূল নথিতে পুলিশের রিমান্ডের আবেদন সংশি¬স্ট কাগজাত দেওয়া হয়নি। আজ জামিন শুনানীকালে আদালত দীর্ঘ পর্যালোচনা শেষে আসামীর জামিন আবেদন না মঞ্জুর করেন। মৌলভীবাজার জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতের মূল নথিতে সকল কাগজাত থাকার পরও জেলা ও দায়রা জজ আদালতে রিমান্ড আবেদন এর কাগজ না আসায় পরবর্তীতে পাবলিক প্রসিকিউটর এ.এস.এম আজাদুর রহমান ( আজাদ) স্বাক্ষরিত কাগজে পুনরায় মেডিকেল সার্টিফিকেট, সুরতহাল রির্পোট, অবহিত করণ প্রতিবেদন, রিমান্ড আবেদনসহ সংশি¬ষ্ট কাগজাত সেরেস্তাদার এর কাছে দেন। কিন্তু, তা গ্রহণ করেনি। জানা গেছে- হাজতী পারভীন বেগম মহামান্য হাইকোর্ট থেকে আগাম জামিন নিয়ে গত ১১ মার্চ মৌলভীবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ২নং আমলী আদালতে জামিন প্রার্থনা করলে বিচারক তার জামিন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে প্রেরণ করার নির্দেশ প্রদান করেন। উলে¬খ্য- গত ২০১৯ সালের ১৫ নভেম্বর আকবর আলীর প্রথম স্ত্রী খোদেজা বেগম এর সন্তান আছিদ আলী, পারভীন বেগম, উমর আলী, দিলারা বেগম, আব্দুল আলী, শিউলী বেগম, জামিল মিয়া, শাকিল মিয়া ও তারেক মিয়াসহ অজ্ঞাতনামা ৬/৭ জন মিলে-মিশে সন্ত্রাসী কায়দায় সিএনজি চালক মোঃ জাফর আলী ও তার মা মায়া বেগমের উপর দেশীয় অস্ত্র শস্ত্র নিয়ে হামলা চালিয়ে বেধড়ক মারপিট করে গুরুতর রক্তাক্ত জখম করে। গুরুতর আহত মায়া বেগমকে প্রথমে শ্রীমঙ্গল স্বাস্থ্য কমপে¬ক্সে পরে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে এবং সর্বশেষ ২৬ ডিসেম্বর ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১১ জানুয়ারি মৃত্যুবরণ করেন। আসামীরা মারামারির মামলায় জামিন প্রাপ্ত হওয়ায় এবং পৃথক পৃথক হত্যা কান্ডের ঘঠনায় পুলিশ দায়িত্বসহকারে তাদের তাদের দায়িত্ব পালণ না করায় পৃথক পৃথক মামলা ২টিতে আজও দঃবিঃ আইনের ৩০২ সংযুক্ত করা হয়নি।