বিশ্বজুড়ে মহামারী আকারে করোনা ভাইরাসের ছড়িয়ে পড়ার প্রেক্ষিতে হ্যান্ড স্যানিটাইজারের চাহিদা উত্তরোত্তর বেড়েই চলেছে। হ্যান্ড স্যানিটাইজারের মাত্রাতিরিক্ত চাহিদার বিপরীতে সরবরাহের স্বল্পতার প্রেক্ষিতে দেশের স্বাস্থ্য সচেতন মানুষদের মনে বেড়ে চলেছে আতংক ও উৎকন্ঠা। যমুনা গ্রুপের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান যমুনা ডিস্টিলিয়ারি লিমিটেড এটির নিজস্ব ডিস্টিলারি প্ল্যান্টে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ফরমুলা অনুযায়ী ইথানল, গ্লিসারল এবং হাইড্রোজেন পার অক্সাইডের মাধ্যমে হ্যান্ড স্যানিটাইজার উৎপাদন করার কাজ শুরু করেছে।
গত ২৩ মার্চ ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর হতে এই সংক্রান্ত অনাপত্তিপত্র পাওয়া গেছে। পণ্যটির আন্তর্জাতিক মান নিশ্চিত করতে উন্নয়ন ও উৎপাদনের পুরো প্রক্রিয়ায় এক দল দক্ষ ও অভিজ্ঞ রসায়নবিদ ও গবেষকরা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। সকল ধরণের জীবাণু ও ভাইরাসকে এই হ্যান্ড স্যানিটাইজারটি নির্মূল করতে সক্ষম।
যমুনা গ্রুপের চেয়ারম্যান মোঃ নুরুল ইসলাম বলেন, ‘করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ায় বিশ্বের সব দেশের মতো আমাদের এখানেও জীবাণুমুক্ত থাকার জন্য হ্যান্ডস্যানিটাইজারের চাহিদা ও সরবরাহের ব্যাপক ঘাটতি দেখা দিয়েছে। এই ঘাটতি জরুরীভিত্তিতে পূরণের লক্ষেই আমরা অত্যন্ত দ্রুততম সময়ে বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদন শুরু করবো এবং বাজারের সর্বনিম্ন মূল্যে ১০০মিলির বোতল ৬০-৭০টাকায় ও ২৫০মিলির বোতল ১৪০টাকায় বাজারজাত করণের পরিকল্পনা নিয়েছি।
দেশব্যাপী বাজারজাতকরণের জন্য প্রাথমিকভাবে যমুনা গ্রুপের নিজস্ব প্রতিষ্ঠান যমুনা ফিউচার পার্কের হোলসেল ক্লাব হাইপার মার্কেটে, যমুনা ইলেকট্রনিকস এন্ড অটোমোবাইলস লিমিটেডের দেশব্যাপী নিজস্ব আউটলেটে এবং অনুমোদিত পরিবেশক ও ডিলারদের সকল শো রুমে এটা পাওয়া যাবে এবং পর্যায়ক্রমে সকল ফার্মেসিতেও এটি পাওয়া যাবে। যেহেতু আমাদের আগে থেকেই দেশব্যাপী সেলস টিম রয়েছে তাই আমরা অল্প সময়ের মধ্যেই দেশের ব্যাপক জনগোষ্ঠীর কাছে এই পণ্যটি সুলভে সরবরাহ করতে পারবো ইনশাআল্লাহ।”
তিনি আরও জানান, “ডাক্তার ও নার্সদের স্বাস্থ্যঝুঁকির বিষয়টি মাথায় রেখে আমাদের হবিগঞ্জের যমুনা ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের হুরেইন এইচটিএফ-এ আমাদের প্রডাক্ট ডেভেলপমেন্ট টিম বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মানদণ্ড অনুযায়ী পিপিই তৈরির লক্ষ্যে কাজ শুরু করেছে। এছাড়া বিদেশ থেকে জরুরীভিত্তিতে বাসায় বসে করোনা টেস্ট করার হোম টেস্ট কিট আমদানিরও উদ্যোগ নিচ্ছি। নিজ দেশের মানুষের জন্য কিছু করার অনুভূতি থেকেই এই উদ্যোগগুলো নিয়েছে যমুনা গ্রুপ। আমরা বিশ্বাস করি, সরকারের সাথে আমাদের সকলেরই নিজেদের সামর্থ্য অনুযায়ী এই লক্ষ্যে কাজ করে জনগণের পাশে দাঁড়ানো উচিত।”