লালমনিরহাটে করোনা ভাইরাস সর্তকতা জারী থাকলেও মানছেনা খাবার হোটেল ও গালামাল দোকানগুলো

লালমনিরহাট প্রতিনিধি। করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সারা দেশের ন্যায় সরকারের ঘোষনামতে লালমনিরহাটেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে সর্তকতার সহিত চলাফেরার নির্দেশনা থাকলেও মানছেনা হোটেল রেস্তোরা,মিনি হোটেল, পাউরুটি চায়ের দোকানগুলো। এসব দোকানগুলোতে প্লেট,চায়ের কাপ ও পানির গ্লাসগুলো পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা না রাখায় মাছি,পিপড়া গড়াগড়ি করছে। অপর দিকে দুই তিন দিনের বাসি তেল ব্যবহার করা হচ্ছে। অন্যদিকে গালামাল দোকানগুলোতে বেশি দামে খাদ্য সামগ্রী বিক্রির অভিযোগ তুলেছে ক্রেতারা। একই সাথে বিক্রি হচ্ছে মেয়াদউত্তীর্ণ খাদ্য সামগ্রী। লালমনিরহাট পৌরসভার ডালপট্রি বাজার, সাপটানা,সেনামৈত্রী মার্কেট.বানভাসা,কলেজ বাজার.গোশালা বাজার নয়ারহাট,বিডিআরহাটসহ বিভিন্ন বাজারগুলোতে দেখা যায় ও শোনাযাচ্ছে এসব কারবার। স্থানীয়রা জানান, জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ভ্রাম্যমান আদালতের পরিচালনা না করলে আরো বেপরোয়া হয়ে যাবে দোকান মািেলকেরা। ফলে হয়রানির শিকার ও ভাইরাস জনিত রোগে আক্রান্ত হতে পারে অনেকে। লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক মো. আবু জাফর জানান, এসব কাজে যারা জড়িত প্রমানিত হবে তাদের জেল জরিমানা করা হবে। এর এজন্য ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান অব্যহত রাখা হয়েছে। এদিকে লালমনিরহাটে প্রবাস ফিরত ৯ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। তন্মধ্যে সদর উপজেলার কানাডা ফেরত ২ জন, আদিতমারী উপজেলার মালোয়েশিয়া ফেরত ১ জন, কালীগঞ্জ উপজেলার আমেরিকা ফেরত ২ জন, দক্ষিণ কোরিয়া ফেরত ১ জন ও পাটগ্রাম উপজেলার ভারত ফেরত ৩ জন। লালমনিরহাট শহরের নর্থ বেঙ্গল মোড় বছিরটারী এলাকার নজরুল ইসলাম হোম কোয়ারেন্টাইনে না থাকায় ও বিভিন্ন হাট বাজারে ঘোরাফেরা করায় ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্টেট শহিদুল ইসলাম সোহাগ আট হাজার টাকা জরিমানা করেন। এদিকেও কঠোর নজরদারী রেখেছে প্রশাসন। জেলার সিভিল সার্জন নির্মলেন্দু রায় জানায়, লালমনিরহাটে ৫ উপজেলার জন্য ৩০টি আইসোলেশন বেড প্রস্তুত রাখা হয়েছে। সেই সাথে প্রত্যেক উপজেলায় ৫ সদস্যের একটি করে মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। এ জেলায় করোনা ভাইরাস সম্পর্কে যে কোন তথ্যের জন্য ০১৭১৫-৩৬১৩৪৮, ০১৭২২-০৪০৯২২, ০১৭১৮-৭৮৫০৮২ এই তিনটি হট লাইন নম্বর সর্বসাধারণের জন্য খোলা হয়েছে।