কোয়ারেন্টাইনের মেয়াদ শেষ না হতেই নজরদারির অভাবে নাটোরে বিদেশ ফেরত অনেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছেন প্রকাশ্যেই। স্থানীয় স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মীরা কোনো প্রকার নজরদারি করছে না বলে অভিযোগ করছেন স্থানীয়দের।
স্থানীয় স্বাস্থ্য বিভাগ জানায়, নাটোর জেলায় কোয়ারেন্টাইনে থাকা ১১ জনের মধ্যে চীন থেকে আসা ২ জনের মেয়াদ শেষ হয়েছে। চলতি মাসের ৬ থেকে ১০ তারিখে বিভিন্ন দেশ থেকে আসা ৯ জনকে এখনও রাখা হয়েছে কোয়ারেনটাইনে।
তবে স্থানীয়দের অভিযোগ, কোয়ারেন্টাইনে থাকাঅধিকাংশ জনই নিয়ম মানছেন না। বিশেষ করে
সদর উপজেলার দিয়ারপাড়া ও পার হালসা গ্রামের কোয়ারেনটাইনে থাকা ৪ জন খোলামেলাভাবে হাটে-বাজারে চলাফেরা করছেন। স্থানীয়দের অভিযোগ স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মীরা বিষয়টি নজর দিচ্ছেন না।
তবে নাটোরের সিভিল সার্জন ডা.কাজী মিজানুর রহমান জানান, কোয়ারেন্টাইনের থাকা ৯ জনের সাথেই তিনি যোগযোগ রেখেছেন। তাদের পরিবারের সদস্যদেরও নিয়ম বলে দিয়েছেন বলে দাবি করেন তিনি।
ডা.কাজী মিজানুর রহমান বলেন, কোয়ারেন্টাইনের থাকা ৯ জন যদি নিয়ম না মানেন তাহলে পুলিশের সহায়তা নেয়া হবে। নাটোর জেলার কোয়ারেন্টাইনের থাকা ১১ জনের মধ্যে সদর উপজেলায় ৯ জন, নলডাঙ্গা উপজেলায় ১ ও বড়াইগ্রাম উপজেলায় ১ জন রয়েছেন। এদের মধ্যে নাটোর সদর উপজেলার ২ জনের কোয়ারেন্টাইনের মেয়াদ শেষ হয়েছে। করোনা মোকাবেলায় সদর হাসপাতাল সহ তেবাড়িয়া ইউনিয়নের একডালায় ভবঘুড়ে আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে।