খোদেজা বেগম, বয়স প্রায় ৫০ বছর। প্রতিদিন তাকে দেখা যায় নাটোরের সিংড়া বুড়া পীরতলা বাজারে। ২৭ বছর যাবৎ সবজি বিক্রি করে জীবিকা
নির্বাহ করছেন তিনি। পেশায় সবজি ব্যবসায়ী হলেও তিনি একজন সংগ্রামী নারী। বাড়ি পৌর শহরের ২নং ওয়ার্ডের উত্তর দমদমা গ্রামে।
উত্তর দমদমা গ্রামের আঃ খালেকের মেয়ে খোদেজা বেগম। প্রায় ৩০ বছর আগে বিয়ে হয় একই গ্রামের ইউসুফ মোল্লার সাথে। খোরশেদ আলম
নামের এক ছেলে সন্তান জন্ম নেয়ার পরে তাদের সংসার ভেঙ্গে যায়। তারপর থেকেই জীবনে সংগ্রাম করে বেঁচে আছেন খোদেজা বেগম। বাজারে সবজির ব্যবসা করে সংসার চালান তিনি। ছেলেকে ছোট থেকে বড় করে
বিয়েও দিয়েছেন। জীবিকার তাগিদে ছেলে এখন স্ত্রীকে নিয়ে থাকেন ঢাকায়। ছেলের দুই সন্তান নিয়েই এখন সংসার খোদেজা বেগমের।
সংসারের খরচের জন্য প্রতি মাসে কিছু টাকা পাঠায় ছেলে খোরশেদ আলম। নিয়মিত খোঁজ-খবর নেন ছেলে। গ্রামীণ ব্যাংক থেকে টাকা লোন নিয়ে
ব্যবসা শুরু করেন খোদেজা। বছরে দু’য়েক দিন বাদে প্রতিদিনই সিংড়া বাজারের বুড়া পীরতলায় ছোট্ট একটি দোকান নিয়ে বসে থাকেন তিনি।
সংগ্রামী নারী খোদেজা বেগম বলেন, প্রতিদিন ১০০-১৫০ টাকা লাভ হয় ব্যবসা করে। এতেই চলে তার সংসার। সাবেক প্যানেল মেয়র গোলাম আজম ভাতার কার্ড করে দিয়েছে। সেটা থেকে তিন মাস পর পর ১৫০০ টাকা পাই।
সাবেক প্যানেল মেয়র আদনান মাহমুদ বিভিন্ন সময় বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করেছে। বর্তমান কাউন্সিলর মিজানুর রহমানও আমাকে সহযোগিতা করেন।