রাজশাহীর বাগমারায় এতিমের জমি জবর দখল করে পাকা প্রাচীর নির্মানের অভিযোগ
উঠেছে এক প্রভাবশালীর বিরুদ্ধে। ওই ঘটনায় এতিম রাকিবুল ইসলাম বাদী হয়ে উপজেলা
নির্বাহী কর্মকর্তা ও বাগমারা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন। জমিটির জবরদখল ঠেকানো ও সংঘর্ষ এড়ানোর জন্য লাল পতাকা টাঙ্গিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। ঘটনাটির সত্যতা স্বীকার করেছেন উপজেলা এ্যাক্সিকিউটিভ ম্যাজিষ্ট্রেট ও নির্বাহী কর্মকর্তা শরিফ আহম্মেদ। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দপ্তরের লিখিত
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ভবানীগঞ্জ হেদায়েতীপাড়ার বসবাসকারী মকলেছুর
রহমান ও তার স্ত্রী হালিমা বেগমের নামে গত ২০০০ সালে গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে ডেপুটি কমিশনার রাজশাহী ৫২৯ ও ২৪১ নং দাগে ২২ ডেঃ জমি ৯৯ বছরের জন্য লীজ প্রদান করেন। লীজ গ্রহনের পর থেকেই মকলেছুর রহমান জমিটি তার ও স্ত্রী নামে খারিজ করে নেন। যার আরএস খতিয়ান নং ৩৭৮। উক্ত জমির চলতি বছরের হালনাগাদ খাজনা
পরিশোধ করেছেন মকলেছুর রহমানের ছেলেরা। তখন থেকেই তিনি উক্ত জমিটি ভোগদখল
করে আসছেন। এদিকে মকলেছুর রহমানের মৃত্যুর পর তার ছেলেরা জমি গুলো ভোগদখল শুরু
করে। কিছু দিন পূর্বে হঠাৎ সন্ধ্যায় দেউলা গ্রামের প্রভাবশালী ব্যবসায়ী মোশারফ হোসেন পান্নু ,তার স্ত্রী, শালিকা ও শ্যালকসহ জমিটি জবরদখলের মাধ্যমে পাকা প্রাচীর নির্মানের কাজ শুরু করেন। বিষয়টি মকলেছুর রহমানের ছেলেরা জানতে পারেন এবং
সেখানে বাঁধা দিতে গেলে তারা জোর পূর্বক প্রাচীর নির্মানের কাজ করতে থাকেন।
মৃত মকলেছুর রহমানের এতিম ছেলেরা কোন দিশা না পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও বাগমারা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করে। এর পররও প্রভাবশালী ব্যবসায়ী উপজেলা প্রশাসনকে তোয়াক্কা না করে জমিটিতে প্রাচীর নির্মানের কাজ
করতে থাকে। বিষয়টি উপজেলা প্রশাসনের নজরে আসলে দু’পক্ষের সংঘর্ষ এড়ানোর জন্য
জমিটিতে লাল পতাকা টাঙ্গিয়ে কাজ বন্ধ করে দেয়া হয়। মৃত মকলেছুর রহমানের এতিম
ছেলে রাকিবুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, মোশারফ হোসেন পান্নু প্রভাবশালী হওয়ায়
তিনি গায়ের জোরে রাতের আধাঁরে ক্যাডার শ্রমিক ভাড়া করে আমাদের জমি জবরদখল করে
পাকা প্রাচীর নির্মানের কাজ করছেন। তারা অবিলম্বে তাদের জমিতে অবৈধ ভাবে
জোরপূর্বক পাকা প্রাচীর নির্মান কাজ বন্ধসহ আইন গত ব্যবস্থা নেয়ার দাবী জানিয়েছেন। অভিযুক্ত মোশারফ হোসেন পান্নু তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, তার শ্বশুরের মৃত্যুর পূর্বে জমি গুলো ক্রয় করে রেখে
গেছেন। শ্বশুরের মৃত্যুর পর মকলেছুর রহমানের ছেলেরাই জোর পূর্বক দখল করতে আসছে। তবে
মোশারফ হোসেন পান্নু উক্ত সম্পতির কোন বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারেন নি।