আত্ম প্রবঞ্চনা

পাশাপাশি বসে আছি
একই সুরে গাইছি গান,
মন চায় ছুঁয়ে যাই হৃদয়ের অতল
বাঁধা দেয় বিবেক।
সভ্যতার মুখোশ যেন আড়াল করে
সুপ্রাচীন কোনো সভ্যতাকে।
হৃদয়ে অব্যক্ত সুর
প্রতিধ্বনি তোলে বুকের দেয়ালে,
কন্ঠে প্রকাশিত হয় চয়িত শব্দ,
ভাবের বহিঃপ্রকাশ ঘটেনা;
শোনা যায় আত্মার অনুরণন –
পাছে হানী হয় সভ্যতার!
আমরা যে সভ্য মানব
কি করে ভাংগি এ কাঁচের দেয়াল?
তার চেয়ে নগ্ন রাজার গায়ে
চরাই কল্পনার পোশাক,
আদিম বন্যতাকে লুকাতে চাই
স্বচ্ছ কাঁচের আড়ালে।
চোখে চোখ পরে গেলে
ঠোঁটে মেলে ধরি ভব্যতার অভিব্যক্তি
আকন্ঠ পান করতে পারিনা
দৃষ্টি বিনিময়ের সুখ।
ইচ্ছে করে হাতে হাত রাখি
তবু নিজের হাত বেঁধে রাখি
অদৃশ্য কোনো সুতোয়।
কখনো বুকের গভীরে
ঝড় বয়ে যায় ভালো লাগার
তবু নিরেট চোখে শরে রাখি মৃতের দৃষ্টি।
আত্ম সুখের চেয়ে বড় হয়ে যায়
আত্মার আত্মাহুতি,
সভ্যতার নামে বেড়ে ওঠে
আত্ম প্রবঞ্চনার বৃক্ষ,
শিকড় শুষে নেয় মন থেকে
স্বপ্নের সব টুকু নির্জাস।।