হঠাৎ আগুনে চোখের পলকে পথে বসা কাপড় ব্যবসায়ী ফারুকের ঘুরে দাঁড়ানোর পথ কি ?

রামিম হাসান,ঝিনাইদহ প্রতিনিধি:
এক ছেলে এক মেয়ে আর স্ত্রী নিয়ে ফারুক হোসেনের সংসার । তার ছেলে ফাইয়াজ আহমেদ ৫ম শ্রেণীতে পড়ে আর মেয়ে ফারিন আক্তার প্লে তে পড়ছে। শৈলকুপার আসাননগরের আনছার মন্ডলের ছেলে দারিদ্র ফারুক হোসেনের নেই কোন মাঠান জমাজমি, সম্পদ-সম্পত্তি। মাত্র ৫কাঠা জমির উপর তার বাড়ি-ঘর । গত ২০ বছর ধরে অন্যের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী হিসাবে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছেন। মূলত তিনি বিভিন্ন কাপড়ের দোকানে কাজ করতেন । তবে স্বল্প পুঁজি হাতে নিয়ে গত ৫ বছর আগে নিজেই একটা গার্মেন্টেসর দোকান দেন । ছেলে ফাইয়াজ এর নামে ভাটই বাজারে গড়ে তোলেন তার পরিশ্রমের ফাইয়াজ ফ্যাশান হাউজ নামের গার্মেন্টসটি । শার্ট, প্যাান্ট, লুঙ্গি সহ নানা ধরেনের পোষাক দিয়ে সাজিয়েছিলেন কাপড়ের দোকানটি। এই ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নিয়ে ভালই চলছিল তাদের সংসার ্ তবে গত জানুয়ারী মাসের ২১ তারিখ রাত সাড়ে ১২টার দিকে বৈদ্যুতিক সর্ট সার্কিট থেকে আগুন লেগে সম্পূর্ণ ভষ্মিভ’ত হয় তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান টি। ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে সমস্ত গার্মেন্টস মালামাল সহ অবকাঠামোটিও ধ্বংস হয়ে গেছে ।
এমন অবস্থায় রুটি-রোজগারের একমাত্র অবলম্বন গার্মেন্টস টি হারিয়ে পথে বসেছে এই প্রান্তিক ব্যবসায়ী । ঘুরে দাঁড়ানোর মতো কোন পূঁজিও তার হাতে অবশিষ্ট্য নেই । ব্যবসায়ী ফারুক হোসেন জানান, হঠাৎ আগুনে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান টি একবারে ভষ্মিভ’ত হয়ে গেছে। মাঠে নেই কোন জমাজমি, নেই আয়-রোজগারের নতুন কোন অবলম্বন। তিনি বলেন, ছেলে-মেয়ের লেখাপড়া সহ সাংসারিক খরচ কিভাবে চালাবেন তাই এখন চিন্তার বিষয় । ফারুক জানান ঘরের মালামাল ও ঘর সহ তার ৫০ লক্ষ টাকারও বেশী ক্ষতি হয়েছে আগুনে । ভাটই বাজার কমিটির সভাপতি বাদশা আলমগীর জানান, তাদের বাজারে কাপড়ের দোকান দিয়ে ব্যবসা করতেন ফারুক হোসেন তবে আগুনে মালামাল সহ ঘরটি পুড়ে তিনি সর্বশান্ত হয়ে গেছেন। তাকে সহযোগীতা না করলে তার পক্ষে ঘুরে দাঁড়ানো বা নতুন করে ব্যবসা-বানিজ্য করা সম্ভব নয় । ভাটই দোকান মালিক সমিতির সভাপতি আবু সেলিম ও সাধারণ সম্পাদক আবু সাইদ জানান, ফারুক একজন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী হিসাবে ভাটই বাজারে নিজস্ব দোকান ঘর দিয়ে কাপড়ের ব্যবসা শুরু করেছিলেন কিন্তু বৈদ্যুতিক সর্ট সার্কিটে আগুন লেগে সে এখন পথে বসে গেছে । ব্যবসায়ীরা চেষ্টা করছে তার জন্যে কিছু একটা করে দেয়ার তবে আর্থিকভাবে তেমন সহযোগীতা পাচ্ছেন না ।