যশোরের শার্শায় বাল্য বিবাহ থেকে রক্ষাপেল স্কুল ছাত্রী ঐশী আক্তার (১৪)। বৃহষ্পতিবার বিকালে শার্শা উপজেলার সদর ইউনিয়নের গাতীপাড়া গ্রামে বিবাহ বাড়ীতে হঠাৎ নির্বাহী ম্য্যাজিস্ট্রেট খোরশেদ আলম চৌধুরী উপস্থিত হয়ে এই বাল্য বিবাহ বন্ধ করেন।জানা যায়, শার্শার সদর ইউনিয়নের গাতীপাড়া গ্রামের শাহিন মোড়ল’র স্কুল পড়ুয়া মেয়ে (কনে) ঐশি আক্তার (১৪) সাথে পাশের বাড়ির নুর ইসলাম’র ছেলে (বর) সুজন হোসেন (২৫), এর বিবাহ সম্পাদনের উদ্দেশ্য খাওয়া-দাওয়া ও বিবাহ সংক্রান্ত আয়োজন চলছে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে বিবাহ বাড়ীতে হঠাৎ নির্বাহী ম্য্যাজিস্ট্রেট খোরশেদ আলম চৌধুরী উপস্থিত হয়ে এই বাল্য বিবাহ বন্ধ করেন। এসময় ২০১৭ অনুযায়ী কন্যার বয়স ১৮ বছরের কম হওয়ায় সে একজন অপ্রাপ্ত বয়স্ক। উপর্যুক্ত অপরাধের কারণে বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন ২০১৭ অনুযায়ী বাল্যবিবাহকারী বর সুজন হোসেনকে ১১হাজার এবং পিতা কনের পিতা শাহিন মোড়লকে ১০হাজার টাকা অর্থদ প্রদান করা হয়।
সহকারী সহকারী কমিশনার (ভুমি) ও নির্বাহী ম্য্যাজিস্ট্রেট খোরশেদ আলম চৌধুরী জানান, ঘটনা স্থলে উপস্থিত হয়ে আমি কন্যা ও বরের বাবাকে বাল্যবিবাহ বিষয়ে জিজ্ঞেস করলে তারা বলেন কোর্ট থেকে এভিডেভিডের মাধ্যমে ছেলে-মেয়ের বিবাহ সম্পন্ন করেছেন কিন্তু তারা জানেননা যে, এভিডেভিড কোন বিয়ে নয়, শুধু হলফনা এবং কেউ যদি এভিডেভিডকে বিয়ে মনে করে এক সঙ্গে বসবাস করে তা হবে ব্যভিচার। আমি মেয়ের জন্ম সনদ এবং স্কুল সার্টিফিকেট যাচাই করে দেখতে পাই যে কনে মোছাঃ ঐশি আক্তার ১৪ বছর। যে কারণে বর ও কনের বাবাকে অর্থদন্ড করা হয়েছে। এবং কনের বয়স ১৮ বছর পূর্ণ হওয়ার আগে বিয়ে দিতে কনের বাবাকে নিষেধ করা হয় এবং সবাই একমত পোষণ করেন। তিনি আরো বলেন, বাল্যবিবাহ নিরোধ বিষয়ে উপজেলা প্রশাসন সবসময় জিরো টলারেন্স।#