বিশ্বনাথে ঘর পুড়ানোর মামলায় সাবুলকে জেলহাজতে প্রেরণ

বিশ্বনাথ প্রতিনিধি :: সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার সদর ইউনিয়নের শাহজিরগাঁও গ্রামের মৃত মনির আলীর পুত্র সাবুল মিয়াকে ঘর পুড়ানোর মামলায় জেলহাজতে প্রেরণের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। একই গ্রামের সুন্দর আলীর পুত্র ফয়সল আহমদের দায়ের করা মামলায় (নং ১১, তাং ২২.০২.২০ইং) বুধবার আদালতে জামিন আবেদন করে সাবুল, কিন্তু আদালত তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করেন।উল্লেখ্য, গত ২১ ফেব্রুয়ারী সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে বাদীর বাড়ির পূর্ব দিকে থাকা টিন শেটের দুই রুমের ঘর অর্থাৎ গরু ঘর ও কাজের লোক থাকার ঘর পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে সাবুল মিয়াকে একমাত্র অভিযুক্ত এবং আরো ৭/৮ জনকে অজ্ঞাতনামা অভিযুক্ত করে ২২ ফেব্রুয়ারী বিশ্বনাথ থানায় মামলা দায়ের করেন ফয়সল আহমদ। ঘরের আগুন দেখতে পেয়ে ১নং স্বাক্ষীসহ অন্যান্যরা শোরচিৎকার শুরু করলে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনেন। তবে অভিযুক্ত সাবুলের বসতঘর বাদীর আগুন লাগা ঘরের পার্শ্ববর্তি হওয়ার পরও ওই বাড়ির কেউই আগুন নেভাতে আসেনি, বরং আগুন নেভানোর কাজে এগিয়ে আসা লোকজনকে বাঁধা প্রদানের চেষ্টা করেছে বলে বাদী তার এজাহারে উল্লেখ করেছেন। এজাহার সূত্রে জানা গেছে, আগুনে ঘর পুড়ার কারণে বাদীর প্রায় ১ লাখ ২০ হাজার টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এছাড়া ঘটনার দিন (২১ ফেব্রুয়ারী) সকাল ৯টার দিকে বাদীর বাড়িতে থাকা আম-লিচুসহ বিভিন্ন প্রজাতির কাজ কাটিয়া প্রায় ৫ হাজার টাকার ক্ষতিসাধন করেছে। এঘটনার পূর্ব থেকে মসজিদের জায়গা নিয়ে বাদীর সাথে অভিযুক্ত সাবুল গংদের মামলা-মোকাদ্দমাসহ বিরোধ চলে আসছে। এরই জের ধরে অভিযুক্ত সাবুল মিয়া তার গরু-ছাগল দিয়ে প্রায়ই বাদীর লাগানো সবজি ও গাছের চারা নষ্ট করে আসছে। এনিয়ে বাদী অভিযুক্ত সাবুলের চাচাতো ভাই আবদুল মতিনসহ এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গের কাছে বিচার প্রার্থী হলে আবদুল মতিন বিষয়টি সালিশ-বৈঠকের মাধ্যমে মিমাংশা করবেন বলে বাদীকে জানান। কিন্তু অভিযুক্ত সাবুল সালিশ-বৈঠকের অপেক্ষা না করে বাদীর বাড়িতে থাকা মহিলা ও স্বাক্ষীদেরকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং বাদীকে খুন করে ফেলার হুমকি প্রদান করেছে বলে থানায় দায়ের করা লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করেছেন বাদী ফয়সল আহমদ।