রাজশাহী জেলার বিভিন্ন উপজেলার পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদের অনেক হাট-বাজার স্থানীয় মেয়র-চেয়ারম্যানের সহতায় ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীদের দখলে রয়েছে। তারা ইচ্ছামত খাস,অর্পিত ও চয়েস ল্যান্ডের সম্পত্তি জবর দখল করে মার্কেট বানিয়ে পজিশন বিক্রি করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিতছেন। এবং হাট-বাজারে টোল আদায়ের নামে ক্রেতা-বিক্রেতাদের জিম্মি করে ব্যাপক চাঁদাবাজি করছে যেনো দেখার কেউ নেই বর্তমানে। এছাড়া বাজারে আসা ক্রেতা-বিক্রেতারা সাব ইজারাদারদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে পড়ছেন। হাট-বাজার গুলোতে পন্য বিক্রির তুলনায় চলছে অতিরিক্ত টোল আদায়ের নামে ইংরেজদের ন্যায় অত্যাচার করলেও যেনো দেখার কেউ নাই। তাই ভুক্তভোগীরা ঊর্ধ্বতন প্রশাসনের হস্তপেক্ষ কামনা করেছেন। এলকাবাসি সুত্রে জানাগেছে,রাজশাহী জেলার বিভিন্ন উপজেলার পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদের মেয়র-চেয়ারম্যানরা হাট ও হাট সংলগ্ন সরকারি খাস,অর্পিত ও চয়েস ল্যান্ডের সম্পত্তি জবর দখল করে সেখানে মার্কেট বানিয়ে পজিশন বিক্রি করছেন। আর এসব ঘরের পজিশন আট থেকে দশ লাখ টাকা করে বিক্রয় করা হচেছ। এবং হাতিয়ে নিয়েছেন কোটি কোটি টাকা বলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যাপক অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া হাট-বাজারের মধ্যে টিন সেডের ঘর তৈরী করে সেখানেও মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে পজিশন বিক্রি করা হচেছ। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হাটের এক তরকারী ব্যবসায়ী বলেন, তারা প্রথমে টিনের ঘর তৈরী করে পরে মোটা অঙ্কের টাকা নিয়ে পজিশন বিক্রি করে দেন এটাই তাদের আসল ব্যবস।া আর টোল আদায়ের নামে চাঁদাবাজি সেটা তো রয়েছেই। চলতি বছরে হাট-বাজার ইজারদার ও ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীরা লাঠি-শোাঠা হাতে পাহারা বসিয়ে ঘর নির্মাণের কাজ করছে। এ সময় স্থানীয়রা বাধা দিলে তাদের লাঠি পেটা করার হুমকি দিয়ে হাট ছাড়া করেছে। এছাড়াও টোল আদায়ের নামে ক্রেতা-বিক্রেতাদের জিম্মি করে চাঁদাবাজির অভিযোগ তো রয়েছেই। এ সময় ঘর নির্মাণ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ইজারদাররা দম্ভোক্তি প্রকাশ করে বলেন, এসব লিখে লাভ নাই ভাগ যায় ওপর মহলে। তারা হাট ইজারা নিয়েছেন হাটের ভালমন্দ দেখার দায়িত্ব তাদের। তবে সব মিলিয়ে রাজশাহী জেলার বিভিন্ন উপজেলার পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদের হাট-বাজার গুলো ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীদের দখলে রয়েছে। এই সব বিষয়ে সচেতন ভুক্তভুগিরা রাজশাহী জেলা প্রশাসকসহ বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সু দৃষ্টি কামনা করেছেন।