পরিবারের সবার মুখে হাসি ফোটাতে, স্বচ্ছলতার আশায় আটত্রিশ
বছর বয়সী গোলাম কিবরিয়া তুষার যখন নিজের প্রতিষ্টিত মুরগির খামারে দিন রাত অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছিলেন ঠিক
এমন সময় মরণ ব্যাধী ক্যান্সারে আক্রান্ত হন তিনি। কিবরিয়া তুষার পাবনার চাটমোহর পৌর সদরের কাজিপাড়া মহল্লার মৃত গোলাম
মোস্তফার ছেলে। নিমিষেই তার সকল স্বপ্ন দুঃস্বপ্নে পরিণত হয়।
এটি গত বছরের কথা।
২০১৯ সালের এপ্রিলে গলায় সমস্যা হওয়ার কারণে এনায়েতপুর
হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে গেলে পরীক্ষা নিরীক্ষা শেষে চিকিৎসকগণ জানান তিনি ক্যান্সারে আক্রান্ত। বিষয়টি জানার পর যেন মাথায় আকাশ ভেঙে পরে তার। উন্নত চিকিৎসার জন্য
চিকিৎসকগণ তাকে ঢাকার ডেলটা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে
রের্ফাড্ করেন। ডেলটা মেডিকেল কলেজে আবার পরীক্ষা নিরীক্ষা
শেষে ক্যান্সারের বিষয়টি সুনিশ্চিত হন তিনি। ইতিমধ্যেই অনেক
টাকা খরচ হয়ে গেছে তার। উন্নত চিকিৎসার জন্য গত বছরের
সেপ্টেম্বর মাসে ভারতের সিএমসি হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি।
সেখানেই তার থ্রোট ক্যান্সারের অপারেশন হয়। দেশ বিদেশে
চিকিৎসা করাতে এ পর্যন্ত তার প্রায় ১৫ লাখ টাকা ব্যয় হয়ে
গেছে। থেরাপীর জন্য প্রতি দুই মাস পর পর তাকে যেতে হচ্ছে ভারতের
সিএমসি হাসপাতালে। যতসামান্য জায়গা জমি যা ছিল
চিকিৎসা ব্যয় মেটাতে বিক্রি করতে বাধ্য হয়েছেন তিনি। এখন
চিকিৎসা চালিয়ে যাওয়ার মত সাধ্য তার নেই। বেঁচে থাকার অদম্য
ইচ্ছা থাকলেও অর্থাভাবে সম্ভব হওয়া নিয়ে সংশয় রয়েছে। তাই,
স্ত্রী সন্তান নিয়ে বেঁচে থাকতে সমাজের সকল মানুষের নিকট
আর্থিক সাহায্যের আবেদন জানিয়েছেন গোলাম কিবরিয়া
তুষার। সাহায্য পাঠানোর পার্সোনাল (বিকাশ) নম্বর-০১৭৫৮ ৪৫০৪৩৮।