বিশ্বনাথ
প্রতিনিধি :: সিলেটের বিশ্বনাথে শনিবার ভোরে ডাকাত-পুলিশের মুখোমুখি
সংঘর্ষে গুলাগুলির ঘটনায় নিহত ডাকাতের পরিচয় সনাক্ত হয়েছে। নিহত ফটিক ওরফে
লিটন উপজেলার রামপাশা ইউনিয়নের নওধার (উত্তরপাড়া) মৃত ইদ্রিছ আলীর পুত্র।
আজ
শনিবার দুপুরে ডাকাত সর্দার ফটিকের স্ত্রী হালিমা বেগম সিলেট ওসমানী
মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে ফটিকের লাশ সনাক্ত করেন। বিকেলে ময়না তদন্ত
শেষে ফটিকের লাশ তার নিজ বাড়িতে নিয়ে আসেন পরিবারের লোকজন।
পুলিশের
সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত ফটিক ওরফে লিটনের স্ত্রী হালিমা বেগম অভিযোগ করে
বলেন, ‘আমার স্বামীকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। দুই বছর দুই মাস পর
গত ১৮ ফেব্রুয়ারি তাকে জামিনে মুক্ত করি। সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে বের
হওয়ার দুই মিনিটের মাথায় জেলগেট থেকে সাদা পোশাকে ডিবি পুলিশ তাকে ধরে
নিয়ে যায়। এরপর থেকে তার খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। অবশেষে আজ দুপুরে স্বামীর
লাশ ফেসবুকে দেখে শনাক্ত করি। থানায় এসে শুনি পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে
তিনি মারা গেছেন।’
এদিকে
ডাকাত সর্দার দুর্ধর্ষ ফটিক ওরফে লিটনের মৃত্যুর খবর শুনে বিশ্বনাথ
উপজেলাসহ বিভিন্ন স্থানের লোকজনের মধ্যে স্বস্থি ফিরে এসেছে।
বিশ্বনাথ
থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রমা প্রসাদ চক্রবর্তী জানান, ডাকাত সর্দার ফটিক
ওরফে লিটনের বিরুদ্ধে সিলেট বিভাগের বিভিন্ন থানায় থাকা ১৮টি মামলা রয়েছে।
তার মধ্যে ১১টি ডাকাতির মামলা, ৩টি অস্ত্র মামলা, ১টি ছিনতাই মামলা, ২টি
ডাকাতির প্রস্তুতি মামলা ও ১টি অন্যান্য মামলা। তার বিরুদ্ধে থাকা এসব
মামলা বিজ্ঞ আদালতে বিচারাধীন রয়েছে।