স্টাফ রিপোর্টার
পাবনার আটঘরিয়া উপজেলায় মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে
সারাদেশে সকল সরকারি-বেসরকারি ভবনে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত করে উত্তোলন করা হয়।
কিন্তু পাবনার আটঘরিয়া উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস, যুব উন্নয়ন অফিস,
উপজেলা কৃষি অফিস এবং মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার অফিস ভবনে জাতীয় পতাকা
উত্তোলন করা হয়নি।
২১ ফেব্রুয়ারি বেলা ১২টায় আটঘরিয়া উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে গিয়ে দেখা
গেলো জাতীয় পতাকা উত্তোলনই করা হয়নি। এই দিন উত্তোলন করা হয়নি উপজেলা যুব
উন্নয়ন, উপজেলা কৃষি অফিস ও মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার কার্যালয়েও।
উপজেলার সরকারি ভবনে মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে জাতীয়
পতাকা উত্তোলন না করায় চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এলাকার মুক্তিযোদ্ধা, রাজনৈতিক ও
সুশিল সমাজের ব্যক্তিরা।
এ বিষয়ে আটঘরিয়া উপজেলা শিক্ষা অফিসার সিরাজুম মনিরা বলেন, তার অফিসে কোন
পতাকাই নাই। সেই কারণেই পতাকা উত্তোলন করা হয়নি। তবে তিনি বলেন, ইউএনও
অফিস পতাকা উত্তোলন করলেই অন্যদের পতাকা তুলতে হয় না।
উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা রাজু আহম্মেদ শিক্ষা অফিসারের কথার সুরেই তিনি
বলেন, উপজেলা পরিষদ চত্বরে ইউএনও ভবনে পতাকা উত্তোলন করলেই হয়, সেই কারনেই আমরা
পতাকা উত্তোলন করিনি।
এ ব্যাপারে সাবেক উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার জহুরুল হক বলেন, মহান “শহীদ দিবস ও
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে সরকারি ভবনে পতাকা উত্তোলন না করায় পতাকা
অবমাননার শামীল, এটি একটি ঘৃনিত কাজ।
আটঘরিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছা: ফুয়ারা খাতুন বলেন, মহান “শহীদ
দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে সরকারি ভবনে পতাকা উত্তোলন না তোলা
উচিত হয়নি, মেনে চলা উচিত। তবে প্রত্যেক সরকারি-বেসরকারি ভবনে জাতীয় পতাকা
অর্ধনিমিত রাখার নির্দেশ র্পর্বেই দেওয়া হয়েছে।
আটঘরিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান মো: তানভীর ইসলাম বলেন, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা
দিবসে উপজেলা যে সকল সরকারি ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলনই করা হয়নি এটি তাদের
গাফিলতি। এর দায় দায়িত্ব তাদের উপরই বর্তায়।