বেগম খালেদা জিয়ার বিষয়ে বার বার আওয়ামী লীগের কাছে কিছু জানতে চেয়ে বিব্রত না করতে সাংবাদিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে দলের সাধারণ সম্পাদক বলেন, খালেদা জিয়াকে নিয়ে অনেক কথা হয়েছে, এই প্রশ্নটি করবেন না। আদালত যেটা সিদ্ধান্ত নেওয়ার নেবেন। এটা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে নেই। কাজেই একই প্রশ্ন বারবার করে বিব্রত করবেন না।
ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দুর্নীতির দায়ে সাজা প্রাপ্ত বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার জামিন ইস্যুটি পুরোটাই আদালতের বিষয়।
তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার জামিনের ব্যাপারে আদালতে আবেদন করেছেন। আদালতই বিষয়টি ঠিক করবে। এটা কোনো রাজনৈতিক মামলা নয়, এটা দুর্নীতির মামলা। দুর্নীতির মামলায় যেটা হওয়ার সেটাই হবে। আদালত যেটা সিদ্ধান্ত নেয়ার নেবেন, এটা আওয়ামী লীগের হাতে নেই, শেখ হাসিনার হাতে নেই। আমাদের কারো কাছে নেই, আমাদের এখতিয়ারে নেই।
তৃণমূল থেকে সংগঠনকে শক্তিশালী করার নির্দেশনা দিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, নিজের দল ভারি করার জন্য বিতর্কিত ব্যক্তিদের দলে টানবেন না। তাহলে দল শক্তিশালী হবে না, দুর্বল হয়ে যাবে।
তিনি বলেন, দল ক্ষমতায় আছে বলে সাংগঠনিক দুর্বলতা উপলদ্ধি করতে পারছেন না। দল সাংগঠনিকভাবে দুর্বল হলে সরকার কখনই শক্তিশালী হবে না। শক্তিশালী সরকার তখনই হবে যখন আওয়ামী লীগ শক্তিশালী হবে। আমাদের সব চাহিদাগুলো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একাই পূরণ করছেন। দল যদি শক্তিশালী থাকে তাহলে যে কোনো পরিস্থিত মোকাবেলা করতে পারব। যার যার জায়গা থেকে অবস্থান নিতে পারব।
যে সকল সাংগঠনিক জেলায় সম্মেলন হয়নি সেগুলো আগামী এপ্রিল মাস থেকে কাউন্সিল করার নির্দেশনা দিয়ে কাদের বলেন, কেউ ঘরে বসে কমিটি করবেন না। কমিটি করতে হলে অবশ্যই সম্মেলন করতে হবে। আর কোনো কমিটি ভাঙতে হলে অবশ্যই কেন্দ্রীয় কমিটির অনুমতি লাগবে। কমিটি ভাঙার ক্ষমতা আপনাদের নেই। আপনারা সুপারিশ করতে পারেন। কেন্দ্র থেকে সিদ্ধান্ত হবে আপনার সুপারিশ যথাযথ কিনা।