আটঘরিয়ায় রাজস্ব আয় কম হওয়ায় ৩টি হাটের পুনরায় দফসিল

স্টাফ রিপোর্টার
এবার সরকারের রাজস্ব আয় কম হওয়ায় পাবনার আটঘরিয়া উপজেলার গোরুরী, একদন্ত ও
খিদিরপুর হাটের পুনরায় দফসিল ঘোষনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সোমবার উপজেলা
পরিষদের মাসিক সভায় এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
আটঘরিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. তানভীর ইসলাম এর সভাপতিত্বে সভায়
উপস্থিত ছিলেন আটঘরিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছা: ফুয়ারা খাতুন,
উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম, একদন্ত ইউনিয়ন পরিষেদের চেয়ারম্যান
ইসমাঈল হোসেন সরদার, চাঁদভা ইউপি চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার সাইফুল ইসলাম কামাল,
দেবোত্তর ইউপি চেয়ারম্যান মোহায়মীন হোসেন চঞ্চল, লক্ষিপুর ইউপি চেয়ারম্যান শেখ
আনোয়ার প্রমুখ।
সভায় দেবোত্তর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হোমায়মীন হোসেন চঞ্চল জানান, গত বছরে
দেবোত্তর ইউনিয়নের গরুরী হাটে সরকারী মূল্য ছিলো ৯ লক্ষ টাকা কিন্তু পরবর্তিতে
হাটে নতুন করে পেঁয়াজ রসুনের হাট বসানোর কারণে এবারে ২৪ লাক্ষ ২০ হাজার টাকা
মূল্য আসে। কিন্তু দুঃখ্যের বিষয় সর্বোচ্চ দরদাতা আইয়ুব আলী সে নিজে এই হাট
নেওয়ার জন্য সিডিউল ক্রয়কৃত ১৯ জন ব্যক্তিকে চাপ সৃষ্টি করে সিডিউল জমা দিতে
বাধা দেয়। তিনি জানান, গোলাম মোস্তফা ও ফয়েজ উদ্দিনের ছেলে দেলোয়ারের কাছ থেকে
সিডিউল ছিনিয়ে নেয়। টেন্ডার ওপেনিংয়ের সময় হাটের ট্রেন্ডার ক্রয়কৃত ব্যক্তিরা ১২
ফেব্রুয়ারি ৩ টার দিকে স্ব-শরীরে উপস্থিত হয়ে অভিযোগ দেন। কিন্তু এদিন টেন্ডার
খোলা হয় না। পরের দিন ১৩ ফেব্রুয়ারি ১২ টার দিকে উপস্থিত হয়ে সিডিউল মালিকগন
লিখিত অভিযোগ দেয়। এই কারণে দেবোত্তর ইউপি চেয়ারম্যান বলেন, কাঙ্খিত আয় আরে

বাড়বে তাই সরকারের রাজস্ব আয় বৃদ্ধির স্বার্থে গোরুরী হাট ব্যবস্থাপনা কমিটির
সভাপতি হিসেবে পুর্নবিজ্ঞপ্তিতি প্রকাশের অনুরোধ জানান।
সভায় উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যানসহ সকল ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা পরিষদ সদস্যদের
সর্বসম্মতিক্রমে পুর্ণনরায় গোরুরী হাট দ্বিতীয়বার পুর্ণ বিজ্ঞপ্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত
হয়।
একদন্ত ইউপি চেয়ারম্যান ইসমাঈল হোসেন সরদার বলেন, রোজী ট্রেডার্স বর্তমান
একদন্ত হাটের ইজারাদার। কিন্তু সে একদন্ত হাট আটঘরিয়ার সীমানা লঙ্ঘন করে
আতাইকুলা থানায় মধ্যে হাট বসায়। যা নীতিমালা লঙ্ঘন হয় এবং একই ব্যক্তি এবারও
টেন্ডার জমা প্রদানে বাধা সৃষ্টি করে।
একদন্ত ইউপি হাটবাজার ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি হিসেবে তিনি বলেন, এই ব্যক্তি
যদি আবারও হাট পায় তাহলে শান্তিশৃঙ্খলা বিনষ্ট হবে এবং হাট অন্য থানায় চলে যাবে।
এতে করে আটঘরিয়ার রাজস্ব হারাবে। তিনি আরো জানান, পুণ:বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হলে
হাটের রাজস্ব আরও বাড়বে। পরিষদ সর্বসম্মতিক্রমে হাটের পুণ:দরপত্রের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
আটঘরিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান মো: তারভীর ইসলাম বলেন, বিভিন্ন অভিযোগের লিখিত
ও স্ব-শরীরে অভিযোগের প্রেক্ষিতে উপজেলা পরিষদের আয় বৃদ্ধির সার্থে গোরুরী, একদন্ত
হাটের কাঙ্খিত আয় আরো বাড়বে সেজন্য এবং খিদিরপুরের কোন সিডিউল জমা না
পড়ায় উপজেলা পরিষদের সভায় সর্বসম্মতিক্রমে পুণ:রায় এই ৩টি হাটের পুণ:বিজ্ঞপ্তি
দেওয়ার জন্য সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়।
মোঃ জিল্লুর রহমান রানা
আটঘরিয়া (পাবনা) প্রতিনিধি