রাজু আহমেদ, নাটোর: নাটোরের সিংড়ায় কোরিয়ান ভাষা শিক্ষা গ্রহন করে দ: কোরিয়া গিয়ে পরিবারেরঅর্থনৈতিক চাকা ঘুরাছে বেকার যুবকরা। পরিবারের দৈন্যদশা ঘুচে স্বাবলম্বী হবার স্বপ্নে অনেক যুবক কোরিয়া যাচ্ছেন। এবং বিদেশ ফেরত যুবকরা পরিবারকে অর্থনৈতিক ভাবে স্বাবলম্বী করে তুলতে সক্ষম হচ্ছেন। এতে করে বেকারত্ব ঘুচছে শত শত যুবকের।
আর এসব যুবকদের স্বপ্নের সম্ভাবনা তৈরি করে দিচ্ছেন বজলুর রশিদ বকুল নামে এক যুবক। ইতোমধ্য তার কাছ থেকে ভাষা শিক্ষা নিয়ে দক্ষিন কোরিয়া গেছে শত শত যুবক। বিভিন্ন জেলা, উপজেলা থেকে এসে তাঁর কাছে ভাষা শিক্ষা গ্রহন করছে অনেকে। বিদেশগামী ঐসব যুবক বাংলাদেশের অর্থনীতি কে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন তেমনি পরিবারের অভাব অনটন দুর করতে কাজ করে যাচ্ছেন।
জানা যায়, বজলুর রশিদ বকুল ২০০৭ সালে নাটোরের সিংড়া উপজেলা সদরে কোরিয়ান ল্যাংগুয়েজ ক্লাব নামে কোরিয়ান ভাষা শিক্ষা কেন্দ্র গড়ে তোলেন। তাঁর এক বন্ধুর মাধ্যমে উদ্বৃদ্ধ হয়ে সে কোরিয়ান ভাষা শিক্ষা শুরু করেন। তারপর নিজ এলাকার কিছু যুবককে সাথে নিয়ে যাবার প্রেরণা যোগান। ২০০৮ সালে কোরিয়ান যাবার সুযোগ সৃষ্টি হয় তাঁর। কিন্তু বাবার অসুস্থতার কারনে মন তাকে নাড়া দেয়নি। তারপর থেকে এলাকার মানুষকে কোরিয়ান শিক্ষার বিষয়ে প্রেরণা দিতে থাকেন। এভাবে তার প্রশিক্ষন কেন্দ্র দ্রুত বিস্তার লাভ করে। বিভিন্ন জেলা থেকে এসে তার কাছ থেকে শিক্ষা নিতে ছুটে আসেন অনেকে ।
বজলুর রশিদ বকুল জানান, বন্ধুর অনুপ্রেরণায় কোরিয়ান শিক্ষা গ্রহণ করি, তারপর রিচার্স শুরু করি। শুধু নিজে নয় অন্যদের নিয়ে যাবার প্রেরণা দিতে থাকি। তারপর আমার প্রশিক্ষন নিয়ে যারা বিদেশ গেছে তাদের ভালোবাসা আমাকে মুগ্ধ করে। দেশের প্রতি ভাতৃত্ববোধ, মানুষের ভালোবাসার কারনে আমি শত ব্যস্ততা, অসুস্থতার পরেও নিয়মিত ক্লাশ নেই। বর্তমানে প্রজেক্টরের মাধ্যমে ক্লাস নিয়ে থাকি। দুই শিফটে ক্লাস নেই।বর্তমানে প্রায় ২০০ জন প্রশিক্ষন নিচ্ছে। এর মধ্য ৬০ জন কোরিয়ান যাবার লটারীতে উত্তীর্ণ হয়ে কোর্স গ্রহণ করছে। তাদের স্বপ্ন বিদেশ গিয়ে পরিবারের দুংখ, দুর্দশা দুর করবে। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ঘটবে।