কিশোরগঞ্জের পাগলা মসজিদের দানবাক্সে এবারও দেড় কোটি টাকা

 শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারী) সকালে  ৩ মাস ১৯ দিন পর কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের দানবাক্স খোলে  ১ কোটি ৫০ লাখ ১৮ হাজার ৪৯৮ টাকা পাওয়া গেছে। এছাড়াও বৈদেশিক মুদ্রা ও বেশ কিছু স্বর্ণালঙ্কার পাওয়া গেছে। 
শনিবার সকালে জেলা প্রশাসনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাগণের উপস্থিতিতে মসজিদের আটটি দান সিন্দুক খোলা হয়। দান সিন্দুক থেকে টাকা খুলে প্রথমে বস্তায় ভরা হয়। এরপর শুরু হয় দিনব্যাপী টাকা গণনা। টাকা গণনায় অংশ নেন মসজিদ- মাদরাসার ছাত্র-শিক্ষক ছাড়াও রূপালী ব্যাংকের কর্মকর্তাগণ অংশ নেন।

টাকা গণনা কার্যক্রম তদারকির দায়িত্বে থাকা অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা জানান, পাগলা মসজিদের দান সিন্দুক খোলে ১ কোটি ৫০ লাখ ১৮ হাজার ৪৯৮টাকা পাওয়া গিয়েছে । টাকাগুলো রূপালী ব্যাংকে জমা করা হয়েছে। এছাড়া ডলার, রিয়ালসহ বিভিন্ন দেশের মুদ্রা স্বর্ণালঙ্কার পাগলা মসজিদের দান বাক্সে জমা পড়েছে।
এর আগে ২০১৯ সালের ২৬ অক্টোবর  দানবাক্সগুলো থেকে সর্বোচ্চ এক কোটি ৫০ লাখ ৮৪ হাজার ৫৯৮ টাকা পাওয়া গিয়েছিল। 
সাধারণত তিন মাস পর পর পাগলা মসজিদের দান সিন্দুক খোলা হয়। এতে অধিকাংশ সময়ই কোটি টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার সহ বিপুল পরিমাণ দান সামগ্রী পাওয়া যায়।     

সাধারণ মানুষের মধ্যে বিশ্বাস রয়েছে, এখানে মানত করলে মনোবাসনা পূর্ণ হয়। আর এ কারণেই মূলত দূর-দূরান্তের মানুষও এখানে মানত করতে আসেন। দানবাক্সে পাওয়া টাকা সাধারণত কমিটি, জনপ্রতিনিধি ও দায়িত্বশীলদের পরামর্শে বিভিন্ন মসজিদে দান-খয়রাত, মাদ্রাসার উন্নয়ন ও জনকল্যাণমূলক কাজে ব্যয় হয়ে থাকে।