মোহাম্মাদ মানিক হোসেন চিরিরবন্দর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি ঃ
দিনাজপুরের চিরিরবন্দরে বিদ্যালয় মাঠে নতুন শহীদ মিনার নির্মানের জন্য ভিত্তিপ্রস্তর
স্থাপনে বাধা দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। এতে আহত হয়েছেন ওই স্কুলের দপ্তরী ও নৈশ্য
প্রহরী বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান আবু সইয়দ এ শাহীন। ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল শুক্রবার
সকালে উপজেলার ইসবপুর ইউনিয়নের নওখৈর বালক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে।
জানাগেছে,ভাষার মাস ২১শে র্ফেরুয়ারী আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন উপলক্ষে
গত ১২ই র্ফেরুয়ারী বুধবার চিরিরবন্দর প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ও ম্যানেজিং
কমিটির আলোচনার মাধ্যমে ওই বিদ্যালয় মাঠে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের আদলে একটি
নতুন শহীদ মিনার নির্মানের সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়।
কিন্তু ম্যানেজিং কমিটিরি সভাপতি রেজাউল ইসলাম নয়ন ও ওই কমিটির অভিভাবক সদস্য
রেজাউল করিম ও দেলোয়ার হোসেন হঠাৎ করে অজ্ঞাত কারনে শহীদ মিনারের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের সময় বাধার সৃষ্টি করে।
দপ্তরী শাহীনুর ইসলাম জানান, সিদ্ধান্ত অনুযায়ী শহীদ মিনার ভিত্তি প্রস্তর স্থাপনের জন্য কমিটির সবাইকে শুক্রবার সকালে আসার জন্য বলা হয়েছিলো। আমি সবকিছু রেডি করেছিলাম । সকালে সবাই এসছে কিন্তু তারা শহীদ মিনার নির্মানের জন্য নয় তা বন্ধের
জন্য। শহীদ মিনার হঠাৎ করে তৈরী কেন হবে না কমিটির সভাপতির কাছে জানতে চাইলে
আমাকে ওই এলাকার সাজিপাড়ার বাসিন্দা মৃত আব্দুর সাত্তারের পূত্র আবু হাসনাদ মুক্তা
(৪৫),মৃত আব্দুর কাদেরের পূত্র রফিকুল ইসলাম (৪০) ওয়েদ আলী শাহ্ পূত্র আব্দুর রউফ স্বপন
(৪৪) এর সাথে আমার ঝগড়ার সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে সবাই মিলে আমাকে মারধোর করে
রক্তাত্ত করে। এ সময় আমার পিতা বীর মুক্তিযোদ্ধা সোলেমান আলী এগিয়ে আসলে তাকেও
অসম্মান করে তারা। এ সময় দপ্তরী শাহীনুর ইসলাম আরো জানায় এ বিষয়ে থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
এ বিষয়ে ওই বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটিরি সভাপতি রেজাউল ইসলাম নয়ন জানান,
আমি শহীদ মিনারের কাজ একবারে বন্ধ করতে বলেনি। শহীদ মিনার নির্মান হবে কমিটির সাথে স্কুলের সবাইকে আবার বসতে হবে তারপর। দপ্তরী শাহীন ওই সময় আমকে মারতে চেয়েছিলো তাই ক্ষিপ্ত হয়ে সবাই তাকে মারধোর করেছে।
ওই বিদ্যালয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোছা. জেসমিন খাতুন জানান, সামনে ২১শে
র্ফেরুয়ারী আর মাত্র ক”দিন বাকি তাই গত বুধবার মিটিংএ উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা
আমাকে নিজস্ব অর্থায়নে স্কুলের মাঠে শহীদ মিনার নির্মানের কথা বলেন যা ব্যায় হবে
তা পরে বিল করে দেয়া হবে । কিন্তু কি কারনে কমিটির সভাপতি এটি বন্ধ করলো আমি
বুঝতে পারতেছিনা।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এম.জিএম সারোয়ার হোসেন জানান, ২১শে
র্ফেরুয়ারীর আগে সব স্কুলে শহীদ মিনার নির্মান করতে হবে। সভাপতি হঠাৎ করে কেব
বিদ্যালয় মাঠে শহীদ মিনার নির্মানে বাধা দিয়েছে আগামী রোববার ওই স্কুলে গিয়ে
এটির একটি ব্যবস্থাগ্রহন করা হবে।