মৌলভীবাজারে সারাদেশের ন্যায় কেন্দ্রীয় দাবি
বাস্তবায়ন সমন্বয় পরিষদের আহবানে দেশব্যাপী বেতন স্কেল আপগ্রেডেশনসহ
টেকনিক্যাল পদমর্যাদা আদায়ের লক্ষ্যে স্বাস্থ্য সহকারীদের হাম-রুবেলা ক্যাম্পেইন ও
ট্রেনিং এবং ২২ ফেব্র“য়ারী থেকে পূর্বের স্থগিত করা ইপিআইসহ সকল
কার্যক্রম দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত বর্জন করেছে মৌলভীবাজার সদর উপজেলার
স্বাস্থ্য সহকারীরা। সদর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপে-ক্সে কর্মরত স্বাস্থ্য সহকারীরা
সাংগঠনিক প্রতিবাদ সভা থেকে এ ঘোষণা দেয়া হয়। এতে সারা দেশের ন্যায়
মৌলভীবাজার সদর উপজেলায় অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে সকল টিকাদান কর্মসূচি।
একাধিক স্বাস্থ্যসহকারী জানান- সারা দেশের ন্যায় হাম-রুবেলা রেজিস্ট্রেশন ও
ট্রেনিং কর্মসূচী বর্জন করেছি আমরা। তবে আগামী ২০ ফেব্র“য়ারীর মধ্যে
ট্যাকনিক্যাল পদমর্যাদাসহ বেতন স্কেল ১১তম গ্রেড প্রদানের জিও (সরকারি
আদেশ) না হলে ২২ ফেব্রুয়ারী হতে সকল কাজ পূর্ণ বর্জন কর্মসূচী পালন করব।
এর আগে কয়েকদিন আংশিকভাবে আমাদের সকল কাজ বর্জন পালন করা হবে। এ
সময় তাদের আন্দোলনে সংহতি প্রকাশ করেন স্বাস্থ্য পরিদর্শকদের কেন্দ্রীয় সংগঠন
‘ইঐওঝঅ’ এর নেতা ও সদর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপে-ক্সের স্বাস্থ্য পরিদর্শক ইনচার্জ প্রভাষ
চন্দ দেবনাথ ও সকল স্বাস্থ্য পরিদর্শকরা। স্বাস্থ্য সহকারীদের সংগঠন বাংলাদেশ হেলথ
এসিস্ট্যান্ট এসোসিয়েশন মৌলভীবাজার সদর উপজেলা শাখার সভাপতি বেবী
চৌধুরী ক্ষুব্ধ কন্ঠে বলেন- যেখানে রাস্ট্রের বিভিন্ন অধিদপ্তরে কর্মরতদের বারবার
বেতন বাড়ানো হলেও সেখানে আমরা শিশুদের টিকাদানের মতো সম্মানজনক কাজ
তথা ট্যাকনিক্যাল কাজ করেও উপযুক্ত বেতন তথা ট্যাকনিক্যাল মর্যাদা পাচ্ছি না।
আমরা ১৬তম গ্রেডে পড়ে রয়েছি। এ রকম বৈষম্য দূর করতে সরকারকে উদ্যোগ
নিতে হবে। নচেৎ কেন্দ্রীয় সমন্বয়কারীদের পাশে থেকে অধিকার আদায়ে কঠোর
আন্দোলন চালিয়ে যাব। বাংলাদেশ হেলথ এসিস্ট্যান্ট এসোসিয়েশন মৌলভীবাজার
সদর উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক রাধিকা রঞ্জন দেব বলেন- দীর্ঘ বিশ বছরে
মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ট্যাকনিক্যাল পদমর্যাদা ও বেতন স্কেল ১১ তম গ্রেড প্রদানের
ঘোষণা বাস্তবায়ন না হওয়াটা দুঃখজনক।